অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক সুনারা বেগম ও তার ছেলে আতিকুল ইসলাম সোহান উরফে আহমেদ সোহান দীর্ঘদিন যাবত নানা অপকর্ম চালিয়ে এলাকার মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরপরাধ মানুষের কাছে সব সময় হয়রানি করে আসছে। মামলার ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অংকের টাকা।
সুনারা এসকল অপকর্মের প্রতিবাদ ও বাধা প্রধান করলে শান্তিকামী মানুষের উপর সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাহি করে থাকে। কোন জনপ্রতিনিধির শালিসে শাড়া দেয়নি। সুনারা কোন আইনের তোয়াক্কা না করেই কিছু বখাটে ছেলেদের দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে থাকে। এমনকি সে নিজেকে আওয়ামীলীগ নেত্রী পরিচয় দিয়ে এসকল অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে উপজেলা আওয়ামীলীগ সুনারার বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
যার ফলে সুনারা দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সুনারার ফেসবুক আইডিতে দেখা যায় আলোচিত পাপিয়ার মতো সকল এমপি-মন্ত্রীদের সাথে ছবি রয়েছে। এই সকল ছবি দেখিয়ে এবং স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ তাহার কাছের লোক পরিচয় দিয়ে আসছে। এক সময় এই নারীর কারণে জৈন্তাপুরসহ সারাদেশে আওয়ামীলীগের সুনাম ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করছে উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। সুনারা একজন দেহ ব্যবসায়ী খারাপ নারী হওয়ার কারণে স্থানীয় প্রশাসনও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সুনারা যেকোন সময় যে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে পরোয়া করেনা। তার সাজানো নাটকীয়তার ভয়ে প্রশাসনও আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।
সুনারা বেগমের সাজানো মিথ্যা মামলার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৪০টির বেশি পরিবারের উপর সুনারার সাজানো মামলা চলমান রয়েছে। আবার থানা পুলিশের সঠিক তদন্তে কোন কোন মামলার সুনারার চার্জশিট বিরুদ্ধে আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
এমন নির্যাতন ও অসামাজিকতার অভিযোগ এনে গত (১ অক্টোবর) সিলেট জেলা পুলিশ সুপার বরাবরও একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন উপজেলার টাকুরের মাটি গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী।এত কিছুর পরও কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
এসব অকর্মের বিষয়ে সুনারা বেগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জৈন্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার ৬নং চিকনাগুল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আছাব আলী, ফয়জুল হাসান, মুুজিব মিয়া, নজরুল ইসলাম, আহমদ হোসেন চোধুরী, আফতাব আলী, সাইফ উদ্দিন, শুভ বিনি, আজির উদ্দিন, মকবর আলীসহ মোট ১৫০ জন জন সাধারণ স্বাক্ষর করেন।
Leave a Reply