স্টাফ রিপোর্টারঃ
কলাপাড়ায় প্রতিপক্ষের মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ। কলাপাড়ায় সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী মোঃ সাহাবুদ্দিন ও তার পিতার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভুয়া ও বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করে একাধিক মামলার অভিযুক্ত আসামি বাহাউদ্দিন।
গত ২৪/০১/২১ইং তারিখ রোজ রবিবার বেলা ১২ ঘটিকায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয় একটি মিথ্যা ভুয়া বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে কয়েকটি আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক দক্ষিণের খবর ও দৈনিক দেশ জনপদ সহ কয়েকটি পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল বুঝিয়া একটি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে। মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনে বাহাউদ্দিন যা অভিযোগ করেন তা সম্পূর্ণ অসত্য তার কোন সত্য সাক্ষী প্রমাণ নেই। তার ওয়ারিশ সূত্রে মাতৃ জমি গত ১৩/০৬/২০০৩ ইং তারিখে এম পি মামলা নং-৫৩/০৩ এর প্রেক্ষিতে আপোষিও রোয়েদাতের এর মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে।
বাহাউদ্দীনের মাতৃ ওয়ারিশি অংশের জমি সাপ বিক্রি করিয়া বুঝিয়ে দেয়। গত ৩০/০৮/২০২০ইং তারিখে অন্যায় ভাবে জোরপূর্বক বিক্রি কৃত জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে জমি চাষাবাদে বাধা সৃষ্টি করে। এবং শাহাবুদ্দিন কে মারধর করে। এই বলিয়া হুমকি দেয় ৫০০০০ টাকা চাঁদা না দিলে এবছর জমি চাষাবাদ করতে দিবোনা। জমিতে হালচাষ করিতে গেলে হাত-পা ভাঙ্গিয়া পঙ্গু করিয়া দিব। বর্তমানে ৪০শতাংশ জমি অনাবাদি অবস্থায় পড়ে আছে। তাহাদের বিরুদ্ধে কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা চলমান। যাহার মামলা নং সি আর ৫২১/২১ এবং কলাপাড়া নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এম পি মামলা নং – ২৪/২০২০ চলমান আছে। উল্লিখিত মামলা এর জন্য নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ জিয়াউল ইসলাম হাবিব এর নিকট তদন্তভার দিলে তিনি ঘটনাস্থলে তদন্ত করিয়া।
স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের গোপন ও প্রকাশ্য জিজ্ঞেসাবাদে জানতে পারে যে, বাদীর সূত্র নং মামলার বর্ণিত বিবরণ সত্য প্রমানিত হয় বলে বিগত ০৯/১২/২০২০ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদনে দাখিল করেন। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনে যথাযথ ভাবে ব্যাখ্যা প্রদান না করায় আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়। তিনি আসামি পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আর কোন রূপ মামলার বর্ণিত সাক্ষীদের সাক্ষী গ্রহণ ও তদন্ত না করিয়া গত ০৫/০১/২১ ইং তারিখে আদালতে একটি মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ২০/০১/২১ ইং তারিখে বাদীপক্ষ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তের বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল পূর্বক মামলাটি পূর্ণঃ তদন্তের জন্য পিবিআই ওসি পটুয়াখালীকে নির্দেশ দেয়। প্রকাশ থাকে যে, সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন একজন মানবাধিকার কর্মী। তিনি বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ এন্ড প্রেস সোসাইটি কলাপাড়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কলাপাড়া উপজেলা শাখার সদস্য। এছাড়া ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানি মূলক কাউন্টার মামলা দিয়ে বিভিন্ন পত্র – পত্রিকা ও মিডিয়ার মাধ্যমে শাহাবুদ্দিন ও পিতার নামে অসত্য ও মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের সামাজিক ভাবে মানহানীর করে মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে জেল হাজত খাটাই বার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। চাঁদাবাজি মামলার আসামি বাহাউদ্দীন কলাপাড়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি কাউন্টার নালিশি সি আর মামলা দায়ের করে। যাহার মামলা নং -৭৫/২১ মামলাটি তদন্তাধীন আছে। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, বাহাউদ্দীনে মামলার আসামি মোঃ শাহাবুদ্দিন (২৮) ও তার পিতা মোঃ এমদাদুল হক (৫৫) এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা হয়রানি মূলক কাউন্টার মামলা। যাহার কোন সাক্ষী প্রমাণ পাওয়া যায়নি। স্থানিয় কয়েকজন নাম না বলার শর্তে জানান মামলার ঘটনার ১১/০১/২১ইংতারিখে কোনো ধরনের মারামারি বা কোন রুপ বিশৃঙ্খলার আমরা দেখি নাই ও শুনিয় নাই। তারা আরো বলেন, শাহাবুদ্দিন একজন সমাজের ভালো ছেলে। তাদের সাথে বাহাউদ্দিনের সাথে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এধরনের মিথ্যা অপবাদ দেয়।এটা একটি মিথ্যা হয়রানি মূলক কাউন্টার মামলা দিয়েছে। বাহাউদ্দীনে বড় ভাই মোঃ নুর অলম জানান, বাহাউদ্দীন আমার স্ত্রী কে নারী নির্যাতন মামলা করার কুপ্রস্তার দেয়। সে তাতে রাজি হয় নি। বাহাউদ্দীনের স্ত্রী মোসাঃ জাহেদা বেগম সাত মাসের গর্ভবতী হওয়ার সুযোগে তার গর্ভের সন্তানের অবস্থা জানার জন্য পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মেডিক্যালে ১৩/০১/২১ ইং তারিখে ভর্তি হয়। তার স্ত্রীর মেডিকেল রিপোর্ট দিয়ে কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে একটি মিথ্যা হয়রানি মূলক কাউন্টার মামলা দায়ের করে। মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায় বাহাউদ্দীন স্ত্রীর গর্ভাবস্থা স্বাভাবিক আছে। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। বাহাউদ্দীনের মামলার বিবরণ ও সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগে সাথে কোন মিল নেই। তার মামলা ও তার প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও হয়রানি মূলক ষড়যন্ত্র। এবিষয়ে সংবাদ কর্মী গন মুঠোফোন বাহাউদ্দীনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সাথে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলমান। আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়েছে তাই আমি একটি কাউন্টার মামলা করেছি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান যে,আমাদের সাথে বিরোধ থাকায় আমাকে ও আমার পিতার বিরুদ্ধে মিথ্যা কাউন্টার মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমার নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। তাই মিডিয়ার মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply