লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এক স্কুল শিক্ষক ২৫ জন ভূমিহীন মানুষের ঘর নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকের নাম নজরুল ইসলাম মোল্লা। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বৈরাটি গ্রামের হাজিরহাট এলাকার বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের খাস জমিতে ২৫ টি ভূমিহীন মানুষের জন্য ২৫ টি বাড়ি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এখানে দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের থাকার জায়গা খুঁজে পাবে। তবে ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকেরা খাস জমিতে বাড়ি তৈরির পথে নামেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মোল্লাসহ একটি দল দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কাজ বন্ধ করে ভলিবল খেলতে শুরু করে। এমনকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের লাল সিল কোট উপেক্ষা করে বাড়িটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি অবৈধভাবে একটি নদীর ভাঙনের উপজাতি ভবনের আশ্রয়ের উপরে একটি টিনের কুঁড়িটি স্থাপন করেছিলেন দেখে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন। তিনি বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের বিল্ডিং ভেঙে ওয়াকসনে না দিয়ে নিজের স্বার্থের জন্য সেই ইটের টিন দিয়ে হাজিরহাটের মোড়ো রেফাজ মোল্লা মার্কেটটি নির্মাণ করেছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে যে প্রায় ৫ মাস আগে তিনি রাস্তায় ৫/৬ টি গাছ কেটে বিদ্যালয়ের অজুহাতে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছিলেন এবং তার উপস্থিতিতে ২০ টি দোকান বানিয়েছিলেন। মাস্টার মোড়ে আরও ৩০ টি দোকান তৈরি করেছেন। যা থেকে সরকার কোনও রাজস্ব পায়নি, তিনি প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা বাড়িয়েছিলেন। যদিও তিনি ভূমিহীন নন, ভূমিহীন ব্যক্তি হিসাবে তিনি জেলা প্রশাসনের কাছে ৩৫ শতাংশ জমি বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করেছিলেন। অন্যদিকে, ৫১২৮ দাগের ১৫ শতাংশ জমিতে তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষক আয়েশা বেগমের নামে আবেদন করা হয়েছে। ছেলে সাগরের নামে আরও ১৫ শতাংশ জমির জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু সেই জমিটি সাত্তার নামে একজন গরীব অসহায় মানুষের। উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক অনেক খাস জমি দখল করেছেন। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগসহ অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে। সেই আত্মসাতের টাকা দিয়ে তিনি কালীগঞ্জ মেডিকেল মোড়ে এস প্রিন্টারের কাছে জমি কিনে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট তৈরি করেন।
নজরুল ইসলাম মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। আমার বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে এক চতুর্থাংশ অবনমিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
Leave a Reply