মুহাম্মদ আজিজুর রহমান খান
নেত্রকোনা জেলা বিশেষ প্রতিনিধি
নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর পৌরসভার বুরুঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মুর্শিদা। বিয়ে হয় আট/ নয় বছর আগে পার্শ্ববর্তী গ্রাম চণ্ডীগড়ে। মুর্শিদার স্বামী রুবেল মিয়া অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন।
মুর্শিদার মাত্র ২৮ বছর বয়স। স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে ভালোই কাটছিল সংসারের সোনালী দিনগুলো। মুর্শিদার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে পড়েছে। তার প্রতিটি মুহুর্ত কাটছে আশংকার মধ্যে ।
অভাব-অনটন সংসারে ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে তাঁদের ভালোই কাটছিল তাদের সংসার । কিন্তু মাস তিনেক আগে মুর্শিদার কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয় এবং ডাক্তার তা সনাক্ত করেন। কিডনি জটিলতার কারণে মুর্শিদা এখন নিজে নিজে চলাফেরা করতে পারছে না।
স্বামী রুবেল মিয়া স্ত্রীর সেবাযত্ন করে অটোরিকশা চালাতে সময় পায় না, যার ফলে চিকিৎসার খরচ জোগাতে পারছে না।
রুবেল মিয়া বলেন-
‘স্ত্রীর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে আমার খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে। এখনআমি সংসার চালানো আর চিকিৎসা চালানো ব্যাপক কষ্ট হচ্ছে, পারছি ই না ।যদি সমাজের বিত্তবানরা সহযোগিতা করতো তবে আমার স্ত্রীর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম। সকলের কাছে কিছু আর্থিক সহযোগিতা চাই’
তাদের আত্নীয় শারমিন আক্তার বলেন , চিকিৎসক জানান মুর্শিদার একটি কিডনি সম্পুর্ন অকেজো হয়ে গেছে, আরেকটি অকেজো হওয়ার পথে । প্রতি সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে, সে পরিমাণ টাকাও এখন নেই তাদের কাছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা মাঝপথে বন্ধ হবার উপক্রম। জরুরি ভিত্তিতে কিডনি প্রতিস্থাপন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।অসহায় শিশু দুটো অসুস্থ মায়ের আঁচল ধরে রেখেছে । শিশু সন্তানরা যাতে মা হারা না হয় সেজন্য বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন আত্নীয় স্বজনেরা।
মুর্শিদা খাতুন বলেন, ‘আমার শিশু সন্তানগুলোর জন্য আমি বাঁচতে চাই, আমি না থাকলে আমার শিশু সন্তানগুলো মা-হারা হয়ে অসহায় হয়ে যাবে । আপনারা আমাকে কিছু আর্থিক সহায়তা করেন, আমাকে বাঁচান।’দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, মুর্শিদাকে বাঁচাতে হলে কিডনি প্রতিস্থাপন একান্ত প্রয়োজন । অন্যথায় ডায়ালাইসিস করাতে হবে। এতে ব্যয় হবে অনেক ।
সমাজের বিত্তশালী, সরকারের উপর মহল যদি একটু সহযোগিতা করে তবে বেচে পারে মুর্শিদা এবং শিশু সন্তান মাতৃহারা হবে না।
Leave a Reply