বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুরের মোরহুম নওশের আলীর ছেলে মোঃ শওকত আলী সাদা মনের একজন মানুষ। সমাজে তার ব্যাপক সুনাম সুক্ষাতি রয়েছে। পেশায় একজন প্রাইভেট জব করেন। তিনি এখন মরনব্যাধী লিভার কান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লোড়ছেন। বাঁচতে চায় এই মানুষটি। ডাক্তর এর পরামর্শে নিয়মিত কেমো থেরাপি-রেডিও থেরাপি দিলে তাকে বাচানো সম্ভব।
বগুড়ার চিকিৎসা শেষ করে, বর্তমানে রাজধানীর আনোয়ারা খান মেডিকেল কলেজ মডার্ন হাসপাতালের কান্সার বিশেষজ্ঞ ডা, এহতেশামুল হক এর কাছে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডা, এহতেশামুল হক এই প্রিতিবেদককে জানিয়েছেন, বর্তমানে এই রোগের ভালো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিয়োমিত চিকিৎসা নিলে ভালো হবার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। তাই এদেশের বিত্তবান্দের কাছে বাবাকে বাচাতে সাহায্যের হাত বাড়ালেন শওকত এর ছেলে মোঃ রাশিদুল ইসলাম। যারা এই সাহাজ্যে এগিয়ে আসতে চায় তাদের জন্য নিচে ব্যাংক একাউন্ট ও বিকাশ নম্বর দেয়া রইলো। Account No:121.151.0190072(Dutch Bangla Bank)Bkash:01758071307। এবিষয়ে রাশিদুল এর বক্তব্য নিচে হুবহু দেয়া রইলো।
আমার বাবা গত তিন মাস পূর্বে রাতে হঠাৎ বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। এরপর আমরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়। ডাক্তাররা বলেন উনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন এবং উনারা হার্ট অ্যাটাকের ট্রিটমেন্ট করেনা। পরপর তিনবার ভর্তি রাখার পরে তার কোনো উন্নতি না হওয়ায় উনারা ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট রেফার করেন। সেখানে ডাক্তার দেখানোর পরে তারা বলেন, উনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন এবং ওনার হার্টে ব্লক থাকতে পারে অনুরাধা পড়াতে চান এবং 2 লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করতে বলেন।
এমত অবস্থায় সন্দেহ হয় আমি রোগী নিয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এ ভর্তি করে সেখানে একই কথা বলায় আমি রোগী নিয়ে ইবনে সিনা স্পেশালাইজড হাসপাতাল ধানমন্ডি 27 এ আমার বাবার এনজিওগ্রাম করি। এনজিওগ্রামের হাটে কোন বা কোন সমস্যা ধরা পড়ে নাই। বগুড়ায় ইবনে সিনা নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাজমুল হক কে দেখায় উনি এমআরআই করেন এমআরআই করার পরে বলেন, যে উনার মেরুদন্ডের দুটির নার্ভের সমস্যা হয়েছে পরে উনি ট্রিটমেন্ট দেন।
দুই সপ্তাহ ওষুধ খাওয়ার পরে কোনো উন্নতি না হওয়ায় আবার দেখা করলে বুকের বাম পাশে ফুলে ওঠে উনি সিটি গাইডেড এফএনএসি টেস্ট দেয় টেস্টের রিপোর্টে উনার বুকের বাম পাশের ফুসফুসের এডিনোকারসিনোমা বা লাং ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরবর্তীতে উনি একজন অনকোলজিস্ট এর কাছে রেফার করেন। এর পরে আমরা ঢাকা আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনকোলজি বিভাগের ডিপার্টমেন্টাল হেড ডাক্তার অধ্যাপক এহতেশামুল হক স কে দেখাই। অনিও বলেন ওনার লাং ক্যান্সার হয়েছে এমত অবস্থায় উনার সার্জারি এবং কেমোথেরাপির কথা বলেন।
আমরা সার্জারি এবং কেমোথেরাপি খরচ জানতে চাইলে তিনি বলেন সার্জারি করতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার প্রয়োজন এবং কয়টি কেমোথেরাপি দিতে হবে।প্রত্যেকটি কেমোথেরাপিতে 40 হাজার টাকা করে প্রায় 2 লক্ষ 60 হাজার টাকা লাগবে। এহেন পরিস্থিতিতে আমাদের আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় আমরা ঢাকা থেকে বাসায় চলে আসি এবং আর্থিক সংকটের কারণে আমরা এখনো ওনার কেমোথেরাপির শুরু করতে পারি নাই। তাই দেশবাসীর বিত্তবান্দের কাছে বাবার চিকিৎসার জন্য হাত বাড়াচ্ছি, আপনার একটি টাকার চিকিৎসায় বাঁচাতে পারে আমার বাবার জীবন।
Leave a Reply