মুন্সীগঞ্জর গজারিয়ায় সুলতানা আক্তার নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। শশুর বাড়ি ও নিহত গৃহবধূর পরিবারের পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার আনুমানিক বেলা ১টার দিকে গৃহবধূ সুলতানা গোসল করার জন্য মটরের সুইচ অন করতে গেলে বিদ্যুৎ স্পর্শ নিহত হন। গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের মধ্য ভাটেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুলতানা ভাটেরচর গ্রামের ওয়াছকরুনীর স্ত্রী ও চর বাউশিয়ার মৃত মেছের আলীর মেয়ে।নিহত সুলতানার প্রতিবেশী অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ফারিয়া আক্তারের তথ্য সুত্রে জানা যায়, ট্যাঙ্কির পানি উপছে পড়ছে দেখে জানালা দিয়ে ডাকাডাকির একপর্যায়ে সাড়াশব্দ না পেয়ে পাশাপাশি বিল্ডিং হওয়ায় ছাদের উপর দিয়ে দেখা যায় গোসলখানায় লাশ পড়ে আছে। আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দেখতে পায় সুলতানা আক্তার পড়ে আছে। উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করে।নিহত সুলতানার ভাই মুর্শিদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, চার বছর হয়েছে বোনকে বিয়ে দিয়েছি একমাসও শান্তিতে ছিল না। বেশ কয়েকবার আমরা এসে বিচার করে মীমাংসা করে দিয়েছি। গত মাসেও মেরে জখম করা হয়েছে তখনো এসে মীমাংসা করে দিয়েছি।স্বামী ওয়াজকুরুনী জানায়, স্ত্রীর সাথে আমার সম্পর্ক অনেক মধুর ছিল। আমাদের দুই বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। সকালে আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। আমার মা আমার মেয়েকে নিয়ে বিয়ে বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। বাবা বাসায় ছিল। পরে আমি খবর পেলাম আমার বউ বিদ্যুৎ স্পর্শ হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রইছ উদ্দীন জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বিদ্যুৎ স্পর্শ নিহত হয়েছে। ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন বলছেন তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। সেজন্য একটা অভিযোগ আমরা গ্রহণ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য স্বামী ওয়াছকরুনীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply