গত আড়াই বছরে বড়থা ডিআই ফাজিল মাদ্রাসায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পিছনের নায়ক প্রাক্তন অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম খোদাদাদ এর ব্ল্যাক মেইলিং এ মাদ্রাসা ও প্রশাসন বিভ্রান্ত
নওগাঁ প্রিতিনিধিঃ
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার গত আড়াই বছরে বড়থা ডিআই ফাজিল মাদ্রাসায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পিছনের নায়ক প্রাক্তন অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম খোদাদাদ যে সব ব্ল্যাক মেইলিং করেছেন তার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এখানে তুলে ধরা হলো। ১। একটি চুক্তি দলিলে দেখা যায় ২৯/০১/২০১৫ ইং তারিখে মাদ্রাসার জমি বন্ধক রেখে অধ্যক্ষ জমির টাকা আত্মসাৎ করেন। এরকম আরো সমূদয় মাদ্রাসার জমি বন্ধক রেখে সব টাকা অধ্যক্ষ আত্মসাৎ করেন। ২। অধ্যক্ষ নুরল বিভিন্ন চাকুরীপ্রার্থীদের থেকে আগে থেকেই টাকা গ্রহন করেন জনাব প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম ঐ মাদ্রাসার সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার আগে থেকেই। ৩। অধ্যক্ষ নুরল পরে জনাব শহিদুল ইসলাম সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার পর যখন তার নিকট তদ্ববীর করতে থাকেন তখন অধ্যক্ষের দূর্নীতি সবাপতির নজরে আসলে প্রথমে অধ্যক্ষকে ২৪/১১/২০২২ ইং তারিখে লিখিতভাবে তিরস্কার করেন, ২৪/০৮/২০২৩ইং তারিখে লিখিত শোকজ করেন অধ্যক্ষের সকল অনিয়ম উল্লেখ করে, তার কপি মহাপরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিষ্ট্রার, ডিসি, ইউএনও, জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা মাধ্যমিক অফিসে সকল অনিয়মের সংযুক্তি সহকারে প্রেরন করেন, কিন্তু অধ্যক্ষ আজো ঐ শোকজের কোন জবাব দেন নাই। ৪। অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকা ও নিয়োগে দুর্নীতি করে সভাপতির নামে চালিয়ে দেয়ায় আবারো তা উল্লেখ করে সভাপতি অধ্যক্ষ নুরলকে ০৮/০৬/২০২৪ইং তারিখে কেন বরকাস্ত করা হবে না, তা উল্লেখ করে শোকজ দেন ও তার কপি আগের মতোই সকল দপ্তরে প্রেরন করেন (০৭/০৫/২০২৪ইং ইমেইল তারিখ), এর পরও জনাব নুরল কোন শোকজের জবাব দেন নাই বা কোন দপ্তর সভাপতির আবদেন আমলে নেন নাই। এখানে উল্লেখ্য যে, ঐ সময় অধ্যক্ষ নুরল জেলে থাকার কারনে ও অনিয়মের কারনে তাকে সাময়ীক বরখাস্ত করে মাদ্রাসার গভর্নিং বডি। ৫। গত ২৪/০৬/২০২৪ইং তারিখে একটি গোপন মিটিংএর মাধ্যমে সভাপতিকে না জানিয়ে অধ্যক্ষ নিজেকে সদস্য সচিব দেখিয়ে নিজেকে অধ্যক্ষ হিসাবে পূনর্বহাল করার জন্য গভর্নিং বডির সভায় একটি কার্যবিবরনী নিজ হাতে লিখে সভাপতির স্বাক্ষরের জন্য জমা দিলে সভাপতি সকল সদস্যদের মতামত নিয়ে অধ্যক্ষকে কি কারনে দোষী সাব্যস্ত করা হইল ও কি কারনে পূর্ন বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হইল তা উল্লেখ করে অধ্যক্ষের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে অধক্ষের প্রায় ২ বছরের অধিককাল অনুপস্থিতির জন্য বেতন ভাতা বন্ধসহ পূর্ন বরখাস্তের সুপারিশের সিদ্ধান্তে ২৪/০৬/২০২৪ইং তারিখের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করে বরখাস্তের নোটিশ জারী করেন সভাপতি।৬। অধ্যক্ষ গত মার্চ থেকে অদ্যাবদি বেতন পান না, মাদ্রাসায় যান না, মাঝে মাঝে মাদ্রায় গিয়ে শিক্ষকদের হুমকি দিয়ে চলে আসেন। ৭। ০৮/০৬/২০২৪ ইং তারিখে সভপাতি মহাপরিচালক, ইউএনও সহ সকলকে আবারো ইমেইলে অধ্যক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের পূনরায় অনুরোধ করলেও কেহই তা আমলে নেন নাই আজো। সভাপতি একাধিকবার ইউএনও, জেলা শিক্ষা অফিস, মহাপরিচালক, রেজিষ্ট্রার কে মোবাইলে এসব বিষয় তুলে ধররেও তারা কর্নপাত করেন নাই। অবশেষে সভাপতি এসকল বিষয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। ৮। অন্যদিকে গত ১৬/০৭/২০২৪ইং তারিখে প্রাক্তন অধ্যক্ষ নুরল নিজেকে অধ্যক্ষ হিসাবে দেখিয়ে ও নিজে অধ্যক্ষ হিসাবে স্বাক্ষর করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সভাপতির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনএনও তা ঠিকই ০২/০৯/২০২৪ইং তারিখে তা আমলে নেয়। কিন্তু অভিযোগ করার কোন এক্তিয়ার নুরল ইসলাম রাখেন না, কারন ঐ সময় তিনি অধ্যক্ষই নন। তিনি বরখাস্ত অবস্থায় মিটিং পরিচালনা, ইউএনও এর সাথে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের সাথে অধ্যক্ষ পরিচয়ে দেখা করেন। কিন্তু তারা জেনেও জানেন না যে, প্রতারক নুরল ইসলাম ইতিমধ্যেই বরখাস্ত হয়েছেন।
Leave a Reply