শিরোনাম :
গলাচিপায় নদী ভাঙনে সড়ক বিলীন হওয়ার শঙ্কায় মানববন্ধন বিজিএমইএ ও স্ট্যানলি স্টেলার বৈঠক: টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতায় অঙ্গীকার রাঙ্গাবালীতে দশ দিনব্যাপী আনসার-বিডিপি প্রশিক্ষণ চলছে রাজনৈতিক সমঝোতার সংকটে বাংলাদেশ—অর্থনীতি ও জনআস্থা কোথায় দাঁড়িয়ে বগুড়ায় মাদক ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এএসপির সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা কিশোরগঞ্জ উপজেলা কে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়তে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নভেম্বরে জেদ্দায় পঞ্চম বার্ষিক হজ সম্মেলন এবং প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা গড়াইটুপি ইউনিয়ন সড়াবাড়ীয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জামায়াতে ইসলামীর বিজয় রাজশাহী দুর্গাপুরে খাদ্যগুদাম থেকে নিম্নমানের চাল উদ্ধার ৩ জনকে বদলির পর মামলা বলিউডের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জুবিন গার্গ আর নেই

‎গফরগাঁওয়ে মাদরাসার মুহতামিম আশিকুর রহমানের ভন্ডামির মুখোশ খুলে গেল জনতার হাতে ।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫
  • ১২৬ বার পঠিত

মোঃ বাবুল স্টাফ রিপোর্টার

‎মাদ্রাসার নাম ব্যবহার করে ধর্মের চাদরে ঢেকে বছরের পর বছর ধরে ভয়ংকর অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন গফরগাঁওয়ের রাহমানিয়া আদর্শ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আশিকুর রহমান রাহমানী। ঢেকির চর গ্রামের এই ব্যক্তি এখন একের পর এক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হয়ে জনরোষের মুখে।

‎এক প্রবাসী অভিযোগ ,আশিকের মাদরাসায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সুবাদে আমার স্ত্রী মাদরাসায় যাতায়াত ছিলো, সে আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে সম্পর্ক করে, পরে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও করে ব্যাকমেইল করে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে । দীর্ঘদিন এই সম্পর্ক চললে একসময় সে গর্ভবতী হয়ে পরলে তাকে গোপনে পাশ্ববর্তী উপজেলা ত্রিশালে এক ক্লিনিকে গর্ভপাত করানো হয়। ঘটনা জানা জানি হলে স্থানীয় কিছু নেতৃস্থানীয় আলেমদের ম্যানেজ করে ঘটনা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।

‎কেবল এই ঘটনাই নয়,২০২৪ সালে বালিপাড়া এলাকার চম্পা নামে এক নারীর সঙ্গেও তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক ফাঁস হয়ে গেলে চম্পার স্বামী তাকে তালাক দেন। এর আগেও ২০২২ সালে এক ছাত্রের মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে থানায় আটক হয়েছিলেন আশিকুর রহমান। পরে উলামা সমিতির সমন্বয়ে মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পান, কিন্তু চরিত্র বদলায়নি।

‎এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, আশিকুর রহমান নতুন নতুন নারীর খোঁজে থাকে এবং সুযোগ পেলেই উত্যক্ত করে । এক কাপড় ব্যবসায়ী জানান, “সে ভণ্ড আলেম। আমার বোনকে দীর্ঘদিন উত্যক্ত করেছে। আমরা টের পাওয়ার পর সে ভয়ে সরে দাঁড়ায়।”

‎ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গফরগাঁওয়ে ক্ষোভের ঝড় উঠেছে। ধর্মপ্রাণ মানুষ ও আলেম সমাজ বলছেন, “শিক্ষার্থীরা নৈতিকতা শিখতে মাদ্রাসায় আসে, অথচ একজন মুহতামিমই যখন নৈতিকতার নামে প্রতারণা করে তখন তা পুরো সমাজের জন্য কলঙ্ক।”

‎তবে অভিযোগের পরও আশিকুর রহমান থেমে থাকেননি। স্থানীয় কিছু আলেমের ছত্রছায়ায় তিনি এখনো মাদ্রাসা পরিচালনা ও কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে আলেম সমাজের ভেতরেই চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেকে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ভেতরে ভেতরে ক্ষোভ জমে উঠছে, যা যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে।

‎অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের দাবি, আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

‎এ বিষয়ে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বন্ধ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদও নীরব রয়েছেন।

‎গফরগাঁওবাসীর দাবি, ধর্মের আড়ালে অপকর্ম চালানো এই ভণ্ড আলেমকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেই হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com