চায়না থেকে খালি বোতল এনে জনসন বেবি লোশন থেকে শুরু করে বেবি শ্যাম্পু-পাউডার-পর্নস ফেয়ার এন্ড লাভলী সহ ২৮ ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী নকল উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রির অভিযোগে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার ৫ (নভেম্বর) রাজধানীর চকবাজার মৌলভীবাজার টাওয়ারের দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সারোয়ার আলম। সারোয়ার আলম বলেন, এরা সকলে বিশ্বের নামি-দামি সব ব্যান্ডের পণ্য নকল করে মজুদ ও বিক্রয়ের সাথে জড়িত।
এসব পণ্যের মধ্যে বাচ্চারা ব্যবহার করে এমন পণ্যও রয়েছে। এ ধরণের পণ্য ব্যবহার করা সবার জন্য অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি আরো বেশি রয়েছে। বিদেশি মোড়কের ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারে এমনিভাবে কেউ যাচ্ছেন হাসপাতালে, কেউ হারাচ্ছেন সৌন্দর্য। আবার কেউ মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। বড় বড় ঝলমলে বিপনিবিতানগুলো থেকে বিদেশি এসব প্রসাধনী কিনেও রক্ষা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারের অর্ধেক প্রসাধনী সামগ্রীতেই রয়েছে বিষ। এখন হাত বাড়ালেই মিলছে নকল আর ভেজাল প্রসাধনী। মোড়ক দেখে কারও বোঝার সাধ্য নেই কোনটি আসল আর কোনটি নকল। তিনি বলেন, অভিযান চলমান থাকবে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply