বিশেষ প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সরোয়াতলী ইউনিয়নের বেঙ্গুরা গ্রামের খুইল্ল্যা মিয়া চৌধুরী বাড়ির ব্যবসায়ী শফিউল আলম চৌধুরীর নিকট চাঁদা দাবি, ভাংচুর ও লুটপাট এবং তিন মাসের অন্তসত্ত্বা কন্যার ভ্রণ নষ্ঠ করার অভিযোগ উঠেছে । (১৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস এম রহমান হলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এ সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ ও আরিফুর হাসান রুবেল আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আমার বাড়ির সীমানা ওয়াল নির্মাণ করতে গেলে সঙ্গে থাকা লোকজন লোহার রড, হাতুড়ি অনান্য সরঞ্জাম দিয়ে নির্মাধীন সীমানা ওয়াল ভেঙে ফেলে। এসময় আমি, আমার স্ত্রী জয়নাব বেগম বাঁধা দিলে মারধর করে আমাদের আহত করে। আমাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসিলে তারা চলে যায় এবং যাওয়ার সময় ২ দিনের মধ্যে দাবিকৃত টাকা না দিলে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে হত্যা করবে এবং তপশীলোক্ত সম্পক্তি দখল করবে বলে হুমকি প্রদান করে। গত ৭ নভেম্বর বিকালে বাড়িতে গেলে দিরাগত রাত সাড়ে ৩ টায় রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, আরিফুল হাসান রুবেল ও তাদের সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে, ছুরি, লোহার রড নিয়ে মোটর সাইকেলের মহড়া দিয়ে আমার ঘরে এসে আমার নাম ধরে ডাকাডাকি করলে আমি বের হই। রুবেল আমার কাছে জানতে চাই, তার দাবিকৃত চাঁদার টাকা জোগাড় করেছি কি না, তখন আমি তাদের কোনরূপ চাঁদা প্রদান করিব না মর্মে জানাইলে তাদের সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসী রাশেদ তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারিতে চাইলে আমি মাথা ঘুরিয়ে ফেলি এতে আমার মাথার পিছনের অংশে মারাত্মক জখম হয়। এসময় আমি চিৎকার করলে আমার স্ত্রী জয়নাব বেগম ঘর থেকে বের হলে তাকেও কুপিয়ে আঘাত করে, এতে আমার স্ত্রীর মাথার সামনের অংশ কপালে মারাত্মক জখম হয়েছে। চিৎকার দিয়ে আমার স্ত্রী মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। চিৎকার শোনে আমার মেয়ে তিন মাসের অন্তসত্ত্বা সানজিদা নুর তার মাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও ইটপাটকেল ও গাছের লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করে, এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এসময় সানজিদা নুর লাঠি ধরে ফেলতে চাইলে আরিফুল হাসান রুবেল তার তলপেটে স্বজোরে লাথি মারে, এতে সানজিদা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, আমার পুত্র সাইফুল আলম চৌধুরী ইমন আমাদের বাঁচাতে আসলেও তাকে মারধর করে। আমার মেয়ে সানজিদা নুরের রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ার কারণে তাকে নিয়ে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. সামিরা জাহানের শরপান্ন হই এবং তিনি পরীক্ষ নীরাক্ষা করে দেখেন, সানজিদা নুরের গর্ভে ধারণ করা ৩ মাসের ভ্রণ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে আমরা স্বপরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে ফৌজদারি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply