প্রকৌশলী মোঃ কাওছার আলী। স্টাফ রিপোটার।
আজ সকাল থেকে ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপদেষ্টা বিভাগের সকল কর্ম কর্তা কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে প্রধান উপদেষ্টা মহোদ্বয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে খোলা চিঠি লিখেছেন।। সলক প্রকৌশলীদের পক্ষে খোলা চিঠি লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ ইফতেখার রহমান।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
আসসালামু আলাইকুম।
আপনার প্রতি রইল আমার সালাম ও শ্রদ্ধা। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং দেশবাসীর দোয়ায় আপনি আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্বে রয়েছেন, আমরা বিশ্বাস করি দেশের সর্বস্তরের মানুষের কল্যানে আপনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা পল্লীবিদ্যুতের নিয়োজিত উপদেষ্টা প্রকৌশলীগন, আশা করছি আপনার নেতৃত্বে বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। ১৯৭৭ সালের সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে উপদেষ্টা প্রতিষ্টান নিযুক্ত থাকার কথা আছে। সেই অনুসায়ী সমিতির শুরু হতে ২০১৮ইং পর্যন্ত তাহা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন মেয়াদে রিটেইনার কন্ট্যাক এর মাধ্যমে উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে কাজ করে আসছিল। ২০১৮ সালে ততকালিন আওয়ামী দোসর চেয়ারম্যান ও কতিপয় জেনারেল ম্যানেজারের যোগ সাজেসে উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন এবং চুক্তি বাতিল করেন। উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান বাতিল করে যে বৈষাম্যর সৃষ্টি করেছেন তাহা বলার মতো নয়। উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২০০জন (প্রকৌশলী) কর্ম-কর্তা কর্মচারিকে বেকার জীবন যাপনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান কর্মরত ছিলেন ১) রিটেইনার প্রকৌশলী ২) সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার ৩। ষ্টেকিং ইঞ্জিনিয়ার ৩। ইন্সপেক্টর ৪। অটো-ক্যাড অপ্যারটর। উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান বাতিল করে নতুন পদ (টেকনিক্যাল) বিভাগ সৃষ্টি করে দিয়ে, যেমন নিয়োগ ব্যানিজ্য করেছেন, অপরদিকে অর্থের অপচয় করেছেন। যেমন টেকনিক্যাল বিভাগে ১) ডিজিএম টেকনিক্যাল ২। এজিএম ইএ্যন্ড সি ৩। জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ায় ২জন ৪। এজিএম আইটি ৫) সহকারি আইটি ৬) লাইনম্যান ৩জন ৭। ড্রাইভার নিয়োগ প্রদান করেছেন এবং আরও অনেক পোষ্ট তৈরির অপেক্ষায় আছে। উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের কর্ম-কর্তা কর্মচারিকে বেতন দিতে হতো ২বছরে ১কোটি টাকা। সেখানে টেকনিক্যাল বিভাগে বেতন দিতে হয় ১বছরে ১কোটি টাকা। উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারি যেখানে আন্তরিকতার সহিত পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির চুক্তি অনুযায়ী সকল প্রকার কাজ সম্পাদন করতো ১) সরকারি রাজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী সমিতির নতুন লাইন নির্মাণ, রক্ষনাবেক্ষণ লাইন নির্মাণ এর জন্য ষ্টেকিংশীট প্রস্তুত, লাইন নির্মানের পরে লাইন সুপারভিশন, এ্যাজবিন্ট ষ্টেকিংশীট প্রস্তুত, ক্লোজ-আউট সম্পাদন ২) নির্মিত লাইনের সিঙ্গেল লাইন ডায়াগ্ৰাম (১৩২/৩৩/১১/৬.৩৫ কেডি), ডিটেইলম্যাপ, কি-ম্যাপ ৩) ভোল্টেজ ড্রপ স্ট্যাডি ৪) সিস্টেম লাস স্টাডি ৫) সেকশানালাইজিং স্ট্যাডি ৬) সাব-স্টেশনের জন্য ব্লক লোড স্ট্যাডি ইত্যাদি। যাহা বর্তমানে টেকনিক্যাল বিভাগ বা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি করছে না। যাহার ফলে সরকারি রাজস্ব অনুযায়ী লাইন নির্মান হচ্ছে না, নির্মিত লাইনের পোল পড়ে যাওয়া/ হেলে পড়া, লাইনের তার র ঝুলে যাওয়া, লাইনে লাইনম্যান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পু্ঙ্গত্ব বা মৃত্যুর মুখে পতিত হওয়া ও মালামালের অপচয়/আর্থিক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এহেন অবস্থায় উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের চাকুরিতে পুনরাবহাল করে সমিতিকে এই ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন।
Leave a Reply