শিরোনাম :
বরিশালে চাল ডিলার কর্তৃক সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি: বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটই সমাধান : সাবেক মন্ত্রী এম. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ খুনের মামলার দুই আসামি গ্রেফতার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কারা হাসপাতাল এখন রোল মডেল বরগুনা-১ আসনে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত এ্যাড. মোঃ রেজবুল কবির…! নবীনগরে পুকুর থেকে কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্বার আগামীতে শহীদ জিয়ার দল বিএনপিই সরকার গঠন করবে – জনসভায় এস এ সিদ্দিক সাজু শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গোপালপুরে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গলাচিপায় নদী ভাঙনে সড়ক বিলীন হওয়ার শঙ্কায় মানববন্ধন বিজিএমইএ ও স্ট্যানলি স্টেলার বৈঠক: টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতায় অঙ্গীকার

ছমেতপুর বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভুয়া নিয়োগ, স্বাক্ষর ও হাজিরা খাতা জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৪৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার ছমেতপুর বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভুয়া নিয়োগ, স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং হাজিরা খাতা পরিবর্তনের অভিযোগে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছেত মাস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিয়োগ বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই সকল সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে মোঃ আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে অফিস সহায়ক পদে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদান করেছেন।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মোঃ আলাউদ্দিন বাস্তবে ০৪ মে ২০২৫ইং তারিখে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম যোগদান করেন এবং ওইদিন থেকেই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিতে শুরু করেন।
কিন্তু আব্দুল বাছেত মাস্টার মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো নথিতে যোগদানের তারিখ উল্লেখ করেন ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ইং সাল, যা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
তথ্য প্রমাণে উঠে এসেছে, এই ভুয়া তারিখকে বৈধতা দিতে ২০২৪ ইং সালের কর্মচারী হাজিরা খাতা পরবর্তীতে পরিবর্তন করা হয়েছে, এবং সেখানে আলাউদ্দিনের স্বাক্ষর জালভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগ আরো রয়েছে, আব্দুল বাছেত মাস্টার তার অবসরের প্রাক্কালে শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম নীতিকে উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব না দিয়ে ৭নং ক্রমিকের ধর্মীয় শিক্ষক আবু সুফিয়ানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেন।
শিক্ষা বোর্ডের বিধি অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য হলে সর্বাধিক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার কথা। কিন্তু এই নিয়ম লঙ্ঘন করে নিজের ঘনিষ্ঠ আবু সুফিয়ানকে দায়িত্ব দিয়ে আব্দুল বাছেত মাস্টার নিজের অবৈধ কার্যকলাপ নির্বিঘ্নে চালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সন্তান জনাব মোঃ রিয়াজুর রহমান, পুরো ঘটনার সত্যতা জানতে পেরে বিষয়টি ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় ভোলা জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় এবং পরবর্তীতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সরাসরি ছমেতপুর বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তদন্তে আসেন।
তদন্তের স্বার্থে তিনি সাবেক সভাপতি সীমা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে, সীমা বেগমের বাবা আবদুল মান্নান হাওলাদার তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে লাউড স্পিকারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে সীমা বেগমকে কথা বলিয়ে দেন। এ সময় নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য সদস্য, বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক সহ অভিযোগকারী উপস্থিত ছিলেন।

এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সীমা বেগম মুঠোফোনে বলেন:
আমি এই নিয়োগ সম্পর্কে একেবারেই অবগত নই। আমি মোঃ আলাউদ্দিন নামে কোনো ব্যক্তিকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করিনি। আব্দুল বাছেত মাস্টার আমার স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন।

এছাড়াও প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে নিয়োগ বোর্ডের একাধিক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা একযোগে জানান আমরা কেউ এই নিয়োগ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমাদের কেউই কোনো নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করিনি। কিভাবে আমাদের স্বাক্ষর ব্যবহার করে মাস্টার সাহেব এই কাগজ শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান,
অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। যথাযথ যাচাই-বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠানো হবে। প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com