স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ বাড্ডা থানা যুবলীগের সংগ্রামী আহবায়ক জনাব, কায়সার মাহমুদের জন্মদিন। তার জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক অঙ্গ সংগঠন ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ তাকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রত্যেকেই তার সুস্বাস্থ্য, সাফল্যমণ্ডিত ও কর্মময় দীর্ঘ জীবন কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এই যুবনেতা সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বুকে ধারন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার দর্শন বাস্তবায়ন করতে দিন রাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নির্দেশনা দেন তিনি সেভাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে মেধা, অত্যাধিক শ্রম ও দক্ষতা দিয়ে বাড্ডা থানা যুবলীগ কে একটি অত্যান্ত শক্তিশালী গ্রহনযোগ্য অবস্থানে নিয়ে আসেন। তাঁর কর্মীবান্ধব রাজনীতি, যে কারও বিপদে আপদে এগিয়ে এসে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার প্রবনতা, যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া, জঙ্গী ও মাদক বিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া, সভা, সেমিনারের আয়োজন, খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা, গরীব এতিম ও দুঃস্থদের সহায়তা,করোনাভাইরাস সংক্রমনের সময়ে স্থানীয় জনগনকে বহুমুখী সেবা সহায়তা প্রদান সহ মানুষের অধিকার রক্ষায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করে তিনি সকলের প্রিয় ও আস্থাভাজন ব্যাক্তিত্বে উপনীত হয়েছেন।
ব্যাক্তি জীবনে অত্যন্ত বিনয়ী, মিশুক, সংস্কৃতিমনা মিশুক, সুন্দর আচরণ ও চরিত্রের অধিকারী কায়সার মাহমুদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে রাজপথের আন্দোলনে, সংগ্রামের পরীক্ষিত সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রমানিত করে
সময়ের পরিক্রমায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি খুবই জনপ্রিয় একজন নেতা হিসেবে উপনীত হয়েছেন।
১/১১ সরকারের সময় যেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা কে গ্রেপ্তার করা হয় সে দিন তিনি এর প্রতিবাদে ব্যাপক লোক সমাগম করে মিছিল করতে গিয়ে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার হয়ে তৎকালীন সরকার কতৃক ব্যাপক শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। একাধিক মামলা দিয়ে তাকে চরম হয়রানী করা হয়। তবুও তিনি মুজিবআদর্শ থেকে সরে আসেন নি।
তার ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি-জামাত জোট সরকার তার বিরুদ্ধে একের পর মামলা দায়ের করে, বহুবার হামলা চালিয়ে তার বহু ক্ষয়ক্ষতি করে। তবুও আন্দোলন সংগ্রাম থেকে তিনি পিছিয়ে থাকেন নি। বিরোধী দলে থাকাকালিন সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অবরোধে নেতৃত্ব দিতে গিয়েও গুলিস্তান থেকে তিনি গ্রেফতার হন। মামলা, হামলা, কারাবাসের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিকভাবে বারবার নির্যাতিত হয়েও তিনি যুবলীগ কে ঐক্যবদ্ধ রেখে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করায় সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে ব্যাপক প্রশংসীত হন ও তাদের অত্যান্ত আস্থাভাজন হয়ে উঠেন
সমাজ উন্নয়নকল্পে জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে তিনি এখনও একক ও যৌথভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে নিরলসভাবে রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এছাড়াও, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ও পরিকল্পনা সমূহ প্রচারের উদ্দেশ্যে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়া সহ বিটিভি ও বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারের জন্য ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, গান, নাটকে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাকে বহুবার বহু সম্মাননায় ভূষিত করেছেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে একজন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে ১৯৯৯ সালে ঢাকার ২১নং ওয়ার্ডের আওয়ামী যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে তিনি মনোনীত হন। অতঃপর তার কর্মীবান্ধব সাংগঠনিক দক্ষতা, দলীয় নিয়ম রিতিনীতি মেনে চলে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাপক ভূমিকা রাখায় ২০০৫ সালে যুবলীগের সম্মেলনে তিনি ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে তিনি বাড্ডা থানা যুবলীগের আহবায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন।
Leave a Reply