রাজশাহীতে দুই সাংবাদিকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে জাবেদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। চাঁদাবাজির ঐ মামলায় জাহিদ ইকবাল নামের এক ফটো সাংবাদিককে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে রাজপাড়া থানা পুলিশ।
বিশ্বস্ত কয়েকটি সূত্রে জানাগেছে, জাবেদ নামে এক ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে দৈনিক মাতৃজগত জাতীয় পত্রিকার ব্যুরো প্রধান রাজশাহী মোঃ মাসুদ আলী পুলক ও দৈনিক মাতৃজগত জাতীয় পত্রিকার ফটোসাংবাদিক জাহিদ ইকবালের এর বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বিষয়ে মাসুদ আলী পুলক বলেন,
চাঁদাবাজির নাটকীয় মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে একটি কুচক্রী মহল। তিনি আরো বলেন আমার সহকর্মী জাহিদ নির্দোশ তার নি:শর্ত মুক্তি চাই। একজন সাংবাদিককে আটক করতে হলে সংক্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করতে হয়। আর কোন গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া কিভাবে একজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায় তা আমার বোধগম্য নয়।
রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকার জাবেদ এর বিরুদ্ধে বোমাবাজি, ছিন্তাই, চাঁদাবাজি সহ ডজন মামলা রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
সেই এখন নিজেকে একজন কথিত বড় ঠিকাদার এর পরিচয়ে অন্তরালে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে হুমকি ধামকি ও নিরহ মানুষদের তার অনিয়মের বেড়াজালে আটকানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজকে একজন বড় মাপের ঠিকাদার পরিচয় দিলেও নেই তার কোন বৈধ ঠিকাদারী সনদ।
গত ১২( ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীর বিলসিমলা নামক এলাকায় সাংবাদিক পুলক ও জাহিদের সাথে নিউজের তথ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি হয় সাগরপাড়া এলাকার ঠিকাদার পরিচয়দানকারী জাবেদের সাথে। সেখানে একজন ছাত্রলীগ নেতা আসলে তার নামেও দেয়া হয় মামলা। আর
সেই সূত্রে ধরে রাজপাড়া থানার ওসি ও জাবেদের যোগসাজশে তড়িগড়ি করে নাটকীয় মামলা দেয়া হয় তাদের বিরুদ্ধে। আর সেই মামলায় সাংবাদিক মোঃ জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এদিকে উক্ত মামলায় সাংবাদিক পুলককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছে রাজপাড়া থানা পুলিশ, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলক এর পরিবার।
উক্ত বিষয়ে মোজ্জাম্মেল হোসেন বাবু নামে এক সাংবাদিক সংঠনের নেতা বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কতিপয় ব্যক্তি মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। মামলা দিয়ে হয়রানী করে সত্যকে থামানো যাবে না। এই মিথ্যা মামলা থেকে তাদের দ্রুত অব্যহতি দেয়ার দাবিও জাানান তিনি।
নইলে, মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হবে বলে, সাংবাদিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে হুশিয়ারী দেন তিনি।
সাংবাদিক জাহিদ ইকবাল এর সহধর্মিণী জানান, রাজপাড়া থানার ওসি মিথ্যা মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। আমি এর সুবিচার চাই।
উক্ত ঘটনায় তিব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানিয়ে
জাহিদ ইকবাল ও পুলকের সহকর্মীরা
বলেন, আমরা আমাদের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট ও হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাই সেই সাথে মিথ্যা মামলায় যারা তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সংক্লিষ্ট প্রশাসন যেন তদন্তপূর্বক
আইনগত ব্যবস্থা নেয় সে সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এদিকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার বিষয়টি আমলে নিয়ে অধিকর তদন্ত করে সাংবাদিককে উক্ত মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন 64 জেলা সাংবাদিক ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাকির আহাম্মেদ এবং ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব চৌধুরী ও কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠন।।
Leave a Reply