চার দফা দাবীতে রবিবার হতে শুরু হওয়া কর্মবিরতি টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রেখেছেন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালসহ ৬ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা। অপরদিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু এবং রোগীর স্বজনদের ওপর হামলা-মামলার প্রতিবাদে শহরের বকুলতলা চত্ত্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রোগীর স্বজনসহ এলাকাবাসী। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, ‘চিকিৎসকদের ওপর রোগীর স্বজনদের হামলা ও হাসপাতাল ভাংচুরের ঘটনায় কর্মবিরতি চলছে। এ নিয়ে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
চিকিৎসকদের ৪দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।’ আজ মঙ্গলবার ২৯ শে ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, রোগীর স্বজনদের ওপর চিকিৎসকদের হামলার প্রতিবাদে ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী।শহরের বকুলতলা চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় বাসিন্দা শামীম আহম্মেদ, সাবেক কাউন্সিলর বিজু আহমেদ, এডভোকেট বাবর আলী খান, বিষ্ণু চন্দ্র মন্ডল, মারুফা আক্তার পারুল প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) চিকিৎসকদের অবহেলায় আমাদের রোগী করিমন নেছার মৃত্যু হয়।
আমরা এর প্রতিবাদ করলে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসীর ওপর নগ্ন হামলা করে। চিকিৎসকরা তাদের ওপর উল্টো হামলার অভিযোগ এনে রোগীর স্বজনদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় রোগীর স্বজন সাইদুর ও শহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।দোষী চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ গ্রেপ্তারকৃত সাইদুর ও শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি জানান বক্তারা। সেই সঙ্গে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়। অন্যথায় হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচির আল্টিমেটাম দেন বক্তারা।
Leave a Reply