জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে ঝুঁকছেন বেকার যুবকরা। বসতবাড়ির উঠান, পরিত্যক্ত জমি ব্যবহার করে স্বল্পপরিসরে ও অল্প পুঁজিতে তিনগুণ বেশি মাছ উৎপাদনের আধুনিক এ চাষ পদ্ধতি নতুন সম্ভাবনার আশা জাগিয়েছে। একজনের সাফল্য দেখে অন্যরা পদ্ধতিটি গ্রহন করায় উপজেলায় বৃদ্ধি পাচ্ছে এর পরিধি।
ফলে স্থানীয়ভাবে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ বেকারত্ব দূরীকরনে উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছচাষি পৌর এলাকার মোঃ সবুজ , মোঃ মনির , মোঃ শিপন জানান, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছের চাষ করে স্বল্পপুঁজিতে অধিক লাভ করে যে কেউ লাভবান হতে পারে।যেহেতু মাছের বর্জ্য থেকে পুনরায় খাবার তৈরী হয়, তাই ২৫ শতাংশ খাদ্যে শতভাগ মাছ উৎপাদন করা যায়।
তারা আরো জানান, প্রথম অবস্থায় এক লাখ টাকা খরচ করে ১০ হাজার লিটার পানির দুটি বায়োফ্লকে মাছ চাষ করলে ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ হবে।দ্বিতীয় দাফে মাছ ও খাবার ছাড়া অন্য বিনিয়োগ না হওয়ায় লাভের পরিমাণ আরও বেশি হবে। এই হিসাবে যিনি যত বড় পানির আধার তৈরি করবেন তার তত বেশি মাছ উৎপাদন হবে। লাভের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছচাষি মোঃ সবুজ জানায়, পুকুরে মাছ চাষ করলে ওষুধ দিতে হয়। ফলে মাছের প্রাকৃতিক গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়।
কিন্তু বায়োফ্লক পদ্ধতিতে ওষুধ প্রয়োগ করতে হয় না।ফলে মাছ থাকে প্রাকৃতিক গুণাগুণ ও স্বাস্থ্য সম্মত। চাকরির পেছনে না ছুটে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে বেকারত্ব দূর করা সহ স্থানীয় মাছের চাহিদা পূরন করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা যায়। এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম জানান, এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা লাভজনক। এ পদ্ধতিতে একভাগ খাদ্য দিয়ে তিনগুন মাছ চাষ করা যায়।
Leave a Reply