সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মিনাটিলা ও শ্রীপুর বিজিবি ক্যাম্প, ভারত সীমান্তের আমড, আমকি, রাবারজুম, বাংলাদেশ সীমানার শ্রীপুর, কেন্দ্রী, কাঠালবাড়ী, মিনাটিলা, দিয়ে আসে দেশে অবাধে প্রবেশ করছে ভারতীয় চোরাই গরু-মহিষ ও মাদকদ্রব্য। আর এসকল চোরাচালানের নেতৃত্ব দিচ্ছে বিজিবি-পুলিশের অবৈধ টাকার লাইনম্যান উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের ঘিলাতৈল গ্রামের বাসিন্ধা মছদ্দর আলীর ছেলে আব্দুল করিম ওরফে বেন্ডটিস করিম ও তারই ভাগিনা জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য কেন্দ্রী গ্রামের বাসিন্ধা আহমদ আলী মেম্বারের ছেলে রুবেল আহমদ এবং তার সাথে রয়েছেন একই এলাকার আজাদ মিয়ার ছেলে বিলাল, আসামপাড়া গ্রামের শাহাব উদ্দীন। তাদের নেতৃত্বে দিনে-রাতে দেশে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করছে গরু-মহিষ, মাদক, কসমেটিকস সহ ইত্যাদি। কিন্তু স্থানীয় পুলিশ-বিজিবি নিরব ভূমিকা পালন করছে। প্রশাসনের বদলে সীমান্ত এলাকায় ডিউটি করছেন বেন্ডটিস করিম ও বুঙ্গাড়ী রুবেল বাহিনীর সদস্যরা।
চোরাই মাল পাচারের নেতৃত্ব ও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে এই চোরাচালানকারী চক্র। বিনিময়ে পুলিশ-বিজিবিকে নিয়মিত টাকার ভাগ পরিশোধ করছে তারা। বিধায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এই চক্রের সাথে রয়েছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ-বিজিবি সদস্যদের গভীর রহম রহম। যার ফলে সীমান্ত এলাকায় এলাকা এখন চোরাকারবারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। এই অবৈধ চোরাচালান বন্ধে পত্র-পত্রিকায় একাধীক সংবাদ প্রকাশ হলেও এসবের কোন পাত্তাই দিচ্ছে পুলিশ-বিজিবি। যার কারণ স্থানীয় জৈন্তাপুর উপজেলার কিছু অসাধূ দালাল সাংবাদিক চোরাকারবারীদের নেতৃত্ব দাতাদের হয়ে প্রতিবাদ প্রকাশ করছে। চোরাকারবারীদের গডফাদারক বেন্ডটিস করিমের ব্যক্তিকে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে প্রতিবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। কিন্তু করিম-রুবেলসহ তাদের চক্রের সদস্যদের সাথে চোরাচালানকারীদের একাধীক ফোন আলাপ ও টাকা উত্তোলনের ভিডিও ক্রাইম সিলেট অফিসে জমা রয়েছে। এমনকি কিছু কিছু ভিডিও প্রকাশ করাও হচ্ছে। কিশের বলে করিমকে ভালো লোক পরিচয় দিচ্ছে ওই দালালরা?
পুলিশ-বিজিবি ও বর্তমানে সাংবাদিকদের ছত্রছায়ায় থেকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আর সেই বুঙ্গার লাইন থেকে করিম এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। বর্তমানে জৈন্তাপুর উপজেলায় যার রয়েছে বিলাশ বহুল দুই বাড়ি ও একাধীক গাড়ী সহ অধীক জমি-জমা। করিম এখন তিনি সীমান্তের রাজা। এলাকার লোকজন তাকে সীমান্তের রাজা হিসাবে চিনেন। বেন্ডটিস করিমের ভাগিনা রুবেল। তার পিতা স্থানীয় ইউপি সদস্য হওয়ায় এলাকার লোক তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। এছাড়া বুঝতে হবে তো সে সীমান্তের রাজা করিমের ভাগিনা। রুবেলও করিমের চেয়ে কোন ভাবে কম নয়। এরা সকলের চোরাচালানের সকল তথ্য ক্রাইম সিলেট অফিসে রয়েছে। কি করো ওই কিছু দালাল সাংবাদিকরা তাদেরকে ব্যবসায়ী প্রমাণ করবেন। এদের মতো দালাল সাংবাদিকদের কারণে এই মহান পেশা কলুষিত হচ্ছে। এই চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে সরকারি কোন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তদন্ত করলেই অচিরেই বেরিয়ে আসবে তাদের সকল অপকর্মের প্রমাণ। ধরা পড়বেন তাদের নেতৃত্ব দাতা পুলিশ-বিজিবি ও অসাধু সাংবাদিরা। কি করে তারা এত সম্পদের মালিক হলো।
জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তে সরকারের রাস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান বন্ধে ও লাইনম্যানদের বিরুদ্ধে দ্রুততম ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে দাবি করছেন উপজেলার সচেতন মহল।
Leave a Reply