শিরোনাম :
লাখাইয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১৫ সাতক্ষীরায় সাবেক আওয়ামীলীগের এমপির ছেলে মাদক ও ইয়ার গানসহ আটক গাজীপুরে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু গ্রেপ্তার বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে শাহজাদপুরের শ্রেষ্ঠ রক্তদাতা হলেন সহকারী অধ্যাপক আলমাছ আনছারী সাতক্ষীরায় সেনাবাহিনীর অভিযানে সাবেক এমপি রিফাত আমিনের ছেলে রুমন মাদক ও অস্ত্রসহ আটক গলাচিপায় বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সংবাদ সন্মেলন পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পথচারী নিহত  শ্যামনগরে কোরবানির পশু কাটার সময় এক ব্যক্তির মৃত্যু সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংস্কার কাজের ফলক উদ্বোধন

জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে দেশে আসছে চোরাই পণ্য: বন্ধ হচ্ছে না বেন্ডিস করিম বাহিনীর বাণিজ্য।

মোঃরায়হান হোসাইন (মান্না),সিলেট জেলা বিশেষ প্রতিনিধি।
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০
  • ৯৮৮ বার পঠিত

-সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছে বিভিন্ন ধরণের অবৈধ ভারতীয় পণ্যসামগ্রী। কতিপয় প্রভাবশালী চোরাকারবারী বেন্ডিস করিম চক্রের নেতৃত্বে অবাধে প্রবেশ করছে এসকল পণ্য। জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে এসব পণ্য প্রবেশ করে সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে সয়লাব। প্রশাসনিক তৎপড়তার অভাবে এই উপজেলার চোরাকারবারী ও মদদ-দাতারা এখন জিরো থেকে কোটিপতি। এ থেকে বাদ নেই কতিপয় বিজিবি, পুলিশ ও হলুদ সাংবাদিকসহ লাইনম্যানরা। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার তাবেদারির অভাবে দিনের পর দিন তাদের দৌড়াত্ব বেড়ে চলেছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, প্রতিদিন রাতে উল্লেখিত কতিপয় ব্যক্তি বেন্ডিস করিমকে লাখ, লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিভিন্ন ধরণের অবৈধ পণ্য দেশে প্রবেশ করানো হচ্ছে। পণ্য সামগ্রীগুলো হল, বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র, মাদক, শাড়ি, গরু, মহিষ, কিটের কার্টুন, ওষুধ-ইন্ঞ্জেকশন, সেনিটাইজার, মোবাইল ফোন, খেলার জুতা, সাপের বিষ, মোটরসাইকেল-টায়ার, কসমেটিকস ও স্বর্ণের বার।

এছাড়া সরকারের কোটি, কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কাচামালের চালানও প্রবেশ করছে অনায়াসে। এর নিরাপদ রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে, সিলেট-তামাবিল রোড, গোয়াইনঘাট-সালুটিকর রোড, কানাইঘাট-রাজাগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ রোড, জকিগঞ্জ-সিলেট রোড ও কোম্পানীগঞ্জ-সালুটিকর রোড। সীমান্ত বিজিবির হাত ছুয়ে সিলেট জেলা পুলিশের নাকের ঢগা দিয়ে সদর এলাকা হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিঠিয়ে পড়ছে এসকল পণ্য। এতে করে সামাজের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ এরকম কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছেন।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সচেতন মহলের বেশ কিছু ব্যাক্তিবর্গ জানিয়েছেন, কতিপয় অসাধু চোরাচালানকারীদের গড ফাদার বেন্ডিস করিম বিজিবি-পুলিশকে ম্যানেজ করে দেদারছে এই বাণিজ্য করছে। বেন্ডিস করিমের বেশ কয়েক জনের একটি গ্রুপ এর সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত রয়েছে। তারা প্রশাসনকে বড় অংকের চাঁদা দিয়ে অবৈধ পন্থায় এসব পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়ে থাকে। তারা হলেন, রুবেল আহমদ, ছুবান, আলী, ফাহিম, আবদুল্লা, আলীম। মূলত এই চক্রটি বেন্ডিস করিমের লাইনম্যান হিসেবে কাজ করে। প্রতিনিয়ত প্রশাসনের টেবিলে লাখ, লাখ টাকা চাঁদা পৌছে দেয় তারা। অত্র এলাকায় স্থানীয়রা তাদের নিকট একই নামে পরিচিত। এদেরকে অন্তত প্রায় অর্ধশতাধিক প্রভাবশালী চোরাব্যাবসায়ী নিয়ন্ত্রন করেন।

বেন্ডিস করিমের ছত্র-ছায়ায় চোরাকারবারীরা এসকল কর্মকান্ডে লিপ্ত। বেন্ডিস করিমের যদি সম্পদের হিসাব নেয়া হয় তাহলে বেরিয়ে আসবে তলের বিড়াল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com