আল আমিন,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের খুলশী থানাস্থ ঝাউতলা পানিরটাংকি,বি-ডাব্লিউ ১,২,৩,ও ৪ জুড়েই প্রতি নিয়ত সংগঠিত হচ্ছে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ।মাদক,জুয়া,নারী ব্যবসা,কারেন্ট,পানি ও রেলওয়ের জায়গা কেনাবেচা বানিজ্য যেনো দৈনন্দিন কার্যকলাপ। বিহারি বাঙ্গালি মিলেই প্রায় ৬ হাজার মানুষের বসবাস এলাকাটিতে।স্থানীয় লোকের চেয়ে বহিরাগত লোকের পদচারনা বেশি এবং তাদের মাধ্যমে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে সাথে জড়িয়ে পড়ছে স্থানীয় লোকজন।সাম্প্রতিক অনু্সন্ধানে উঠে অাসে পানিরটাংকি জসিমের টং দোকান থেকে শুরু করে মিজান প্রকাশ ডাকাত মিজানের কলোনী বা ১৭-১৮ নং বিল্ডিং পর্যন্ত মাদক ও দেহ ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে।যার সাথে জড়িত আছে টং দোকান্দার জসিম,আমরা ওয়ালা জহির,ওয়ারিয়র বয়েজের নাঈম,তুষার,রকি,তুহিন,সাইফুল প্রকাশ ক্লাব সাইফুল,চা দোকান্দার রুবেল (১৮নং বিল্ডিং),কসাই রুবেল,আলী,সেলিম প্রকাশ সন্টু,কারেন্ট মোস্তফা,দেহ ব্যাবসায়ী দালাল পারভিন,সিএনজি আব্দুল,জেসমিন সহ আরো অনেকে।
দেহ ব্যবসায় দিন মজুর,রিক্সা চালক,ঝাউতলা কাঁচা বাজারের দোকান কর্মচারীরা হলো প্রতিদিনের কাস্টমার ৩শ থেকে ১০০০ টাকায় পাওয়া যায় অন্তরঙ্গ হওয়ার সুযোগ।মাঝে মাঝে এলাকার বাহিরের লোক আসলেই ঝলক ক্লাবের নাঈম,তুষার,তুহিন,সাইফুলসহ আরো কয়েকজন কিশোর মিলে অনৈতিক কার্যকলাপের দায়ে হেনস্থা করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনা মিমাংসা করে দেয়।সে টাকার ভাগাভাগি নিয়েও হয় ঝগড়া। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক কিছু ব্যাক্তির সাথে ছবি তুলে সে ছবির উপর পুঁজি করে বুক ফুলিয়ে চলে একদল বাহিনী। যাদের আড্ডা ঝলক ক্লাব,পানিরটাংকি মোড় সহ প্রতিটি গলির মুখে।কেউ প্রতিবাদ করতে আসলে প্রশানের হুমকি দেখিয়ে বলে থানায় ওদের সেটিং আছে।
মাদক: মাদকের বড় ধরনের লেনদেন হয় এলাকাটিতে যার সাথে সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত টং দোকান্দার জসিম,আমরা ওয়ালা জহির,সেলিম প্রকাশ সল্টু,রকি,কসাই রুবেল ও মিজান।মাদকের ও দেহ ব্যবসার মূল স্থান হলো ১৭-১৮ নং রেলওয়ে বিল্ডিং এর আশপাশ জুড়ে।ধারনা করা যায় প্রতিদিন লক্ষ টাকার আদান প্রদান করে চক্রটি।
রেলওয়ের কারেন্ট,পানি ও জায়গা ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ভূমিদস্যুদের একটি চক্র অনেক আগে থেকেই রেলওয়ের জমি দখল ও বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করে আসছে।ঝাউতলা কলোনী ও বিহারী বাংলোগুলোতেও এর প্রভাব রয়েছে।অবৈধ ঘর-বাড়ি,দোকান,গোডাউন ও বিভিন্ন গ্যারেজের মতো স্থাপনা গড়ে উঠেছে এলাকাটিতে। সেই সাথে চলছে অবৈধ পানি ও কারেন্ট ব্যবসা। উত্তর ঝাউতলা কলোনীর শেষ মাথার বৈদ্যুতিক খুটি ও ঝাউতলা কলোনী প্রথম মাঠের বৈদ্যুতিক খুটি থেকে রেলওয়ের কারেন্ট অবৈধ ভাবে সরবরাহ করছে কারেন্ট মোস্তফা,তুহিন ও মিজান এত অনিয়ম যেনো দেখার কেউই নেই।সমাজ বিশ্লেষকগন মনে করছেন যথাযথ প্রশাসনের নজরের অভাবে গড়ে উঠেছে এমন অপরাধ রাজ্য।
Leave a Reply