
মোঃ শাকিল রেজা খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ
ঝিনাইদহ ও হরিণাকুণ্ডু এলাকার ৫৭ হাজার সনাতনী ভোটার ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে ঝিনাইদহ-২ নির্বাচনী এলাকার ১১০টি পূজা মন্দির কমিটিসহ চারটি সনাতনী সংগঠন যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা আহ্বায়ক চন্দন বসু মুক্ত।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর থেকে ঝিনাইদহ জেলার সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ এবং সনাতনী সম্প্রদায় ঝিনাইদহ-২ নির্বাচনী এলাকায় নির্ভয়ে ও নিরাপদে বসবাস করছে। বিগত দুই বছর আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব, দুর্গাপূজা, অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এবং কোনো প্রকার আতঙ্ক ছাড়াই উদযাপিত হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থেকে সনাতনীদের ধর্মীয়, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যবসায়িকসহ সকল কার্যক্রম নিরাপত্তার সাথে দেখভাল ও সার্বক্ষণিক পাশে থেকে ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করছেন যে মানুষটি, তিনি হলেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সংগ্রামী সভাপতি অ্যাডঃ এম এ মজিদ। তাঁর আন্তরিক সহযোগিতা ও সহায়তা সনাতনী সমাজের লোকদের মাঝে একটা আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা তৈরি হয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড এম এ মজিদকে মনোনয়ন না দিলে ঝিনাইদহ ও হরিণাকুণ্ডু এলাকার ৫৭ হাজার সনাতনী ভোটার ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
ঝিনাইদহের সনাতনীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড এম এ মজিদ নির্যাতিত নেতাকর্মীদের আলোকবর্তিকা। তিনি নিজেও ফ্যাসিস্ট দ্বারা নির্যাতিত। তাঁর বাসাবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অগণিত মামলা ছিল। এত কিছু পরেও তিনি নিজ দলের নেতাকর্মী ও সনাতনীদের আগলে রেখেছেন পরম মমতা দিয়ে। তাঁর এই অবদান সনাতনীরা অস্বীকার করে না। তিনি জেলা, উপজেলা, শহর, গ্রাম ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি সাধ্যমতো তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ফলে তাকে মনোনয়ন না দিলে ঝিনাইদহ ও হরিণাকুণ্ডু এলাকার ৫৭ হাজার সনাতনী সম্প্রদায়ের ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন বলে ঘোষণা দেন।
Leave a Reply