সেলিম মাহমুদ স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুর টঙ্গীর রেল স্টেশনের একটু সামনেই গড়ে উঠা
চার তারকা মানের জাভান হোটেল,এযেন এক ভিআইপি মিনি পতিতালয়।অশ্লীল নৃত্য,মদপান,জুয়া ও বেহায়াপনায় রাতভর মেতে থাকে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা।মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
প্রথমত গাজীপুরের বিভিন্ন গার্মেন্টসের বায়ারদের থাকার জন্য উন্নত মানের একটি হোটেল দরকার এমন প্রয়োজনীয়তা থেকে জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সহ-সভাপতি শেখ বাদল আহমেদ নিজের ছেলের নামে নামকরণ করেন হোটেলটি প্রতিষ্ঠা করেন।কিন্তুু হোটেল জাভান বর্তমান সমাজের জন্য বিষফোড়া,সন্ধা হলেও দেখা যায় ভিন্ন চিত্র বিভিন্ন এলাকা থেকে সিএনজি ও প্রাইভেট গাড়ি যোগে জাভান হোটেলে আসতে শুরু করে তরুণীরা। হোটেলের দশম তলায় রাত ৮টার পর থেকে শুরু হয় অশ্লীল নৃত্য ও মধ্যপান,মদ্যপান অবস্থায় থাকা ব্যক্তিরা নাচের তালে লাখ লাখ টাকা উড়িয়ে দিচ্ছে প্রমোদবালাদের দিকে। এছাড়াও হোটেলের রুমগুলোতে চলে রাতভর জুয়ার আসর। এসব জুয়ায় ঢাকা ও আশপাশের বড় বড় জুয়ারিরা অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও হোটেল রুমে চলে ইয়াবা সেবনও। হোটেলের ভেতরেই পাওয়া যায় ইয়াবা। আর এসব অপকর্মের কারণে বলি হচ্ছে তরুন ও উঠতী বয়সের কিশোররা।
র্যাব- পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর একাধিকবার হোটেলটিতে অভিযান পরিচালনা করলেও বন্ধ হয়নি এসব অপকর্ম।
জাভান হোটেলের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে কেরু এ্যান্ড কং এর লাইসেন্স রয়েছে। অথচ হোটেল কতৃপক্ষ দেদারসে বিদেশি মদ এবং বিয়ার বিক্রি করছে। হোটেলের বারে শুধুমাত্র মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত গ্রাহকদের মদপানের অনুমতি থাকলেও লাইসেন্স ছাড়াই চলে রাতভর মদপান।
একটি চার তারকা হোটেল পরিচালনার জন্য যে সকল কাগজপত্র থাকার কথা তা নেই কতৃপক্ষের কাছে।শেখ বাদল আহমেদ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিঁয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বছরের পর বছর
হোটেলটি পরিচালনা করছেন। বক্তব্য
এসব বিষয়ে স্থানীয়রা একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছে কিন্তু অদৃশ্য কারণে হোটেলটির বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। এবিষয়ে জানতে শেখ বাদল আহমেদ এর মুঠোফোনে একাদিক বার কল দিলেও ফোন রিসিভ করে নাই।
Leave a Reply