আবদুল্লাহ আল মোজাহিদ: সাদা হাতির দেশ হিসেবে সুপরিচিত পর্যটন রাষ্ট থাইল্যান্ড।লাখ লাখ পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকা থাইল্যান্ডে বসবাস করছেন হাজারো বাঙ্গালি।এরা নিজ ব্যবসা ও চাকরির মাধ্যমে নিজের ভাগ্য যেমন পরিবর্তন করেছেন তেমনি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন এক অনন্য উচ্চতায়!অসংখ্য সফল বাঙ্গালিদের মাঝে অন্যতম সফল বাঙ্গালি জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন।মেধা সততা ও নিজ দক্ষতায় তিনি আজ থাইল্যান্ডের একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন শুধু নিজেকে নিজ ব্যবসার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে কাজ করে যাচ্ছেন থাইল্যান্ডের সকল বাঙ্গালিদের একটি প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে। তিনি থাই-বাংলাদেশি কমিউনিটি পাতায়া নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন যা থাইল্যান্ডে বাংলাদেশিদের (রেজিঃ ১১/২৫৫২) রেজিস্ট্রিকৃত সংগঠন।
সংগঠনটির প্রতি চার বছর পর পর সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হোন সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য।তবে অন্যান্য বছরের নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে বেশ কিছু ভিন্নতা ছিলো লক্ষণীয়। দীর্ঘ বার বছর ধরে থাই-বাংলাদেশি কমিউনিটি পাতায়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন পাতায়াস্থ বাঙ্গালিদের স্বপ্নদ্রষ্টা জনাব জাহাঙ্গির হোসেন।কিন্তু নতুনদের সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে তিনি এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।তাঁরি নেতৃত্বে তিনজন বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে এবারের নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। মহামারি করোনা ভাইরাস এর কারণে পুরো বিশ্ব যখন স্থবির হয়ে পড়েছে,থাইল্যান্ড পাতায়ার বাঙ্গালিরা যখন মানুষিকভাবে হতাশায় ভুগছিলেন ঠিক সেই মুহূর্তে এ নির্বাচন ঘোষনার মাধ্যমে কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছেন এখানে অবস্থানরত বাঙ্গালিরা।
গত একমাস ধরে নির্বাচনী প্রচারণা,অনুষ্ঠান ও নানান উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে গত ১২ ডিসেম্বর ২০২০ রোজ শনিবার পাতায়া পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে নির্বাচনটি সম্পন্ন করা হয়।বিকেল চারটা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ যা, শতভাগ ভোটার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে রাত দশটায় শেষ হয়।ভোট শেষে নির্বাচন কমিশন থাই-বাংলাদেশি কমিউনিটি পাতায়া এর নতুন সভাপতি (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) জনাব আব্দুল আলিম (মোল্লা), বিপুল ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান শামীম ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ সোলায়মানকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
এছাড়াও সিনিয়র সহ -সভাপতি হিসেবে আনিসুর রহমান,সহ-সভাপাতি নুরুল ইসলাম শিশির,শহিদুর রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে আরাফাত রহমান,সাইফুল ইসলাম (পবন),আলাউদ্দিন,লুৎফর রহমান,অফিস সম্পাদক ফয়সাল ইমতিয়াজ (অপু), অর্থ সম্পাদক তাওফিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক নুরুন নবী (জয়), সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন (নয়ন), ক্রীড়া সম্পাদক আরিফুর রহমান (লিখন) সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্রী রণধীর কুমার বোস,নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা পদে কোহিনুর আক্তার, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আসাদুজ্জামান মুন্না ও সারা ইসলামকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ফলাফল ঘোষণার পর ভোটারদের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।এসময় কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা বললে তারা জানান,এ নির্বাচনে আমাদের পছন্দের প্রার্থীরা সিংহভাগ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।এজন্য আমরা খুবি আনন্দিত।থাই-বাংলাদেশী কমিউনিটি ২০২০ এর নির্বাচনে ভোট দিতে পেতে আমরা সত্যি আনন্দিত।আমরা এ নির্বাচনকে ঘিরে যতটা আনন্দ উপভোগ করেছি তা আমাদের দেশের নির্বাচনগুলোতেও পাইনি।এমন একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়।এ নির্বাচন আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি শিক্ষণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।
Leave a Reply