দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত তিন দিনে ঝড়ে গেলো তিনটি প্রাণ।
গাড়ি চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারনে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে এমন সড়ক দুর্ঘটনা এতে করে প্রাণ হারাচ্ছে পথযাত্রী ও মটরসাইকেল আরোহী।প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রতিদিন দেশের কোথায় না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর ঘটনা ঘটছে।
গতকাল রবিবার সন্ধা ছয়টার দিকে খানসামা উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের তাতীপাড়ার সামনে মোটরসাইকেল ও নসিমনের সংঘর্ষে নাসিম নামে এক মেধাবি কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে এবং আরো একজন অাহত হয়েছে।
এর অাগে গত শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুর বারোটার দিকে খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পুলহাট বাজার এলাকার ব্রীফ অফিসের সামনে ট্রাক টলী ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে বাঁধন ইসলাম অারো এক মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু হয় এবং গুরুত্বর আহত হয়েছিল অারও দুইজন।
এ ছাড়াও এর আগে গত শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় উপজেলার পূর্ব হাসিমপুর চোধুরী পাড়া মোড়ে মাইক্রো থেকে নামার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আব্দুল হামিদ (৫৫) নামে পূর্ব হাসিমপুর চৌধুরী পাড়ার এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়।
এছাড়াও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে অদক্ষ চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, খামখেয়ালিপনা, জনসচেতনতার অভাব এবং দায়ী চালকের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির বিধান না থাকায় অহরহ ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই যন্ত্রদানবের হত্যার শিকার হচ্ছে বহু জ্ঞানী, গুণী, বৃদ্ধ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সড়ক নিরাপত্তার জন্য সরকার একের পর এক নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু এগুলোর বাস্তবায়ন না হওয়ায় সড়কে বিশৃঙ্খলা চলছেই। এ কারণে প্রতিদিনই প্রাণ ঝরছে সড়ক-মহাসড়কে। প্রতিদিন দুর্ঘটনায় সড়কে পড়ছে লাশ। খালি হচ্ছে মায়ের কোল।
এদিকে শনিবার নীলফামারীর সৈয়দপুর সড়কে উত্তরা ইপিজেড এর শ্রমিক বহনকারী অটোবাইকের সাথে ঢাকা থেকে ছেড়ে অাসা একটি নৈশ কোচের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ১১জন আহত হয়েছে।
গুরুতর আহত ৩জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি নৈশ কোচের সাথে কামারপাড়া এলাকায় উত্তরা ইপিজেড এর শ্রমিক বহনকারী অটোবাইকের সাথে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
Leave a Reply