হুমায়ুন আহমেদঃ নাটোরের লালপুর উপজেলার মানবাধিকার সাংবাদিক কমিশন(সমাক)’র মহিলা সম্পাদক মোসাঃশিউলি খাতুন,পিতা ইউনুস আলী,গ্রাম দুড়দুড়িয়া-মনিহারপুর,থানা লালপুর,জেলা নাটোর বনাম এস,এম তরিকুল ইসলাম,পিতাঃএস,এম নূরুল ইসলাম,গ্রাম রহিমপুর,থানা লালপুর,জেলা নাটোর(ল্যান্স নায়েক বিজিবি,কার্ড নম্বর-৭৬৩১০,বর্তমানে বান্দরবান সেক্টরে কর্মরত)তাদের দীর্ঘ দিনের পারিবারিক সমস্যা গুলো মানবাধিকার সাংবাদিক কমিশন (সমাক)’র সহযোগিতায় গত ০৬ অক্টোবর ২০২০, ইং তারিখে তরিকুল ইসলামের কর্মস্থল বান্দরবান সেক্টরে একটি লিখিত চুক্তি পত্রের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসা করে শিউলি খাতুন নাটোর জেলা আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি প্রত্যাহার করেন।
সমঝোতা চুক্তি ছিল নিম্নরূপঃ
ক)আমার স্ত্রী শিউলি খাতুন আগামী ১৫ দিন আমার বাবা এস,এম নূরুল ইসলামের সাথে আমার পুরাতন বাড়িতে থাকবে এবং ১৫ দিন পরে আমার বাবা সহ আমি ও আমার স্ত্রীর অর্থায়নে তৈরিকৃত নতুন বাড়িতে আসবে।
খ)আমার স্ত্রী শিউলি খাতুন কর্তৃক আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা আগামী ১৮ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখের পূর্বে আদালত হতে প্রত্যাহার করবে।
গ)নতুন বাড়ি তৈরি করার জন্য আমার স্ত্রী কর্তৃক যে সকল ঋন(ব্যাংক/এনজিও /সমিতি ইত্যাদি) গ্রহন করা হয়েছে তা নিয়মিত পরিশোধের ব্যাবস্থা করবো।
ঘ)অদূর ভবিষ্যতে আমার স্ত্রী শিউলি খাতুন কে শারিরীক ও মানসিকভাবে কোন প্রকার নির্যাতন করবো না,যদি করি তাহলে আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মেনে নিব।
কিন্তু শিউলি খাতুন শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্বামী তরিকুল ইসলামের সহযোগিতায় চুক্তি পত্রের সকল শর্ত অমান্য করে তাহার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি,দেবর সহ ঐপরিবারের সকল সদস্যগন পুনরায় মারধর করে বাড়ির দরজায় তালাবদ্ধ করে প্রাণ নাশের চেষ্টা চালাই।এক পর্যায়ে লালপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে শিউলি কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে শ্বশুর বাড়ির কোন লোকজন তাহার কোন খোঁজ খবর না নিলে চিকিৎসা শেষে তাহার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন।উক্ত বিষয় টি শিউলি খাতুন তরিকুল ইসলামের সেক্টরে অবগত করলে সেখান কার দায়িত্ব প্রাপ্ত কমান্ডার বিষয় টি নিয়ে তালবাহানা শুরু করলে শিউলি খাতুন নিরুপায় হয়ে পুনরায় সাংবাদিক মানবাধিকার কমিশন(সমাক)’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস,এম রবিউল আওয়াল স্যারের নির্দেশে নাটোর জেলার অস্থায়ী কার্যালয়(হয়বতপুরে)একটি জরুরি আলোচনা সভার আয়োজন করেন।উক্ত আলোচনা সভায় বিজিবি সদস্য এস এম তরিকুল ইসলাম চুক্তি পত্র অমান্য করে কেন শিউলির সাথে প্রতারণা করছে?এর সঠিক সমাধান কি?এ সকল
বিষয়ে সু পরামর্শ দেন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রবিউল আওয়াল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মানবাধিকার কমিশন(সমাক)’র লালপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপন,সেক্রেটারি মেহেরুল ইসলাম মোহন,সহ নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মানবাধিকার কর্মী বৃন্দ।
উল্লেখ্য যে,(২৭ ডিসেম্বর)সোমবার সাংবাদিক মানবাধিকার কমিশন(সমাক)’র রাজশাহী বিভাগীয় অফিসে উক্ত বিষয় টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার পর নাটোর জেলা সহ বিভিন্ন উপজেলায় তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হবে।
Leave a Reply