শিরোনাম :
ময়মনসিংহে দুই পৃথক হত্যাকাণ্ডে দৃষ্টান্তমূলক রায় বগুড়া শেরপুর সীমাবাড়ী ইউনিয়নে যুবদলের ও ছাত্রদলের নির্বাচনী প্রচারণা ঢাকায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ বিজয়নগরে প্রবাসীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনি গণসংযোগকালে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে বিএনপি। রংপুর মহানগরের বুড়ীরহাটে, রায়হান সিরাজীর নির্বাচনী অফিস মির্জাপুরে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৫৬ তম টিআরসি ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে তানোরে ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যক্রম পরিদর্শনে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. চিত্রলেখা নাজনীন আমজনতার দলকে নিবন্ধনের আহ্বান ড. এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশের তারেক রহমানের নেতৃত্বে বগুড়ায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা আর কেউ করেনি — ভিপি সাইফুল

নান্দাইলে মনোয়ারা খাতুন কে বয়স্ক ভাতার কার্ড এবং একটি ঘর দিলেন, ইউ.এন.ও. এরশাদ উদ্দিন

রিপোর্টার মোজাম্মেল হক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১
  • ৮৪৭ বার পঠিত

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের শিব নগর গ্ৰামের ৮৩ বছর রয়সের বৃদ্ধা মনোয়ারা খাতুন।

২১মার্চ (রবিবার) দুপুরে ইউএনও মোঃ এরশাদ উদ্দিন ও উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁর হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেন এবং ১৭ কেজি চাল, ০২ কেজি ডাল, ০২ লিটার তেল, ০২ কেজি চিনি, মানবিক সহায়তা বক্সের নগদ প্রায় ৪০০০ টাকা,ভিজিডি কার্ড এবং একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

এ সময় নান্দাইল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা জুয়েল, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইনসান আলি সহ এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মানোয়ার বাড়ি উপজেলার আঁচারগাও ইউনিয়নের পশ্চিম শিবনগর গ্রামে। তিনি গ্রামের মৃত আঃ কদ্দুছের স্ত্রী। তাঁর বয়স ৮৩ বছর কিন্তুু গতকালের আগে তাঁর নাম বয়স্ক ভাতার তালিকায় ওঠেনি।
সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বয়স্ক ভাতা পেতে নারীর জন্য বয়স ৬২ ও পুরুষের জন্য ৬৫ বছর হওয়া প্রয়োজন। সে হিসেবে মনোয়ারা খাতুনের প্রায় ২১ বছর আগে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার কথা ছিল। অবশ্য বাংলাদেশে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে প্রথম ‘বয়স্ক ভাতা’ কর্মসূচি প্রবর্তন করা হয়।
ইউএনও মো. এরশাদ উদ্দিন বলেন ওনার সম্পর্কে (মনোয়ারা) আগে কিছুই জানতাম না। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জানতে পারি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বয়স্ক ভার্তার কার্ড দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মনোয়ারা খাতুনের আপনজন ও সহায়সম্বল বলতে কিছু নেই। ২০ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন। বয়সের ভারে অনেক আগেই কর্মশক্তি হারালেও পেটের ক্ষুধা মেটাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে চলতে হয় তাঁকে। মাঝেমধ্যে রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে তাঁর দুর্গতির আর শেষ থাকে না। এত বয়সেও মনোয়ারাকে কেন কার্ড দেওয়া হয়নি জানতে চাইলে আঁচারগাও ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন কাইয়ুম জানান, তিনি নিঃস্ব মনোয়ারা খাতুনকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বেশ কয়েকজন জানিয়েছিলেন, এই কার্ডের টাকা অন্য লোকজন নিয়ে যাবে। তাই আর দেওয়া হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com