আলোচিত ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে করা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) -কে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় আগের বিয়ে গোপন থাকা অবস্থায় বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যবিচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনা শেষে দুপুরে এ আদেশ দেন।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়িলে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জেনেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গিয়েছেন।
আরও বলা হয়েছে, ‘তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার ৮ (আট) বছর বয়সী শিশু কন্যা মারাত্মভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছে। আসামিদের এরকম কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে; যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ঘটা করে বিয়ে করেন ক্রিকেটার নাসির ও তাম্মি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে তিনটি ছবি আপলোড করেন বহুদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ ক্রিকেটার। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এ বিয়ের খবর। তবে বিয়ের সপ্তাহ না পেরোতেই খবর আসে, অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন নাসির। এ জন্য থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন নিজেকে তাম্মির প্রথম স্বামী হিসেবে দাবি করা রাকিব হাসান। এরই মাঝে ক্রিকেটার নাসির হোসেনের একটি ফোন রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে শোনা যায়, ফোন করে এক ব্যক্তিকে জিডি করার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলেছেন নাসির।
Leave a Reply