রেলের জমি অবৈধ দখল করে পিলার দিয়ে বহতল ভবন নির্মানের চেষ্টা করাকালে রেলওয়ে আই ডাব্লু নারায়ন প্রসাদ সরকার (এসএসএই) বাদী হয়ে সৈয়দপুরে জহুরুল হক (কাড়িহাটি) রোডস্থ দুইজন ব্যাক্তি মোঃ রমজান আলী পিতা-আসগর আলী ও মোঃ মোজাম্মেল হক পিতা-জহির গাড়িয়াল এর নামে রেলের জায়গায় অবৈধ বহুতল ভবন নির্মানের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্বারক নং-পি/১-৩১ অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোজাম্মেল হক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আইডাব্লু অফিসে গিয়ে হুমকি ধামকি প্রদান করেন।
ঘটনাটি তিনি রাজশাহী বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তাকে অবহিত করলে বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা, কানুনগো পার্বতীপুর, সার্ভেয়ার আমিনকে পাঠিয়ে ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে ১২.১০.২০২০ তারিখে সৈয়দপুর থানায় মোঃ কানু সিরাজ পিতা- অজ্ঞাত এর নামে একটি লিখিত মামলা দায়ের করেন, মামলা নং-০৬, ধারা ৪০৬/৪২০, তারিখ ১২.১০.২০২০। অথচ পৌর আওয়ামীরীগের সাধারন সম্পাদক মোজাম্মেল হক ভবন নির্মান তদারকির দায়িত্বে থাকায় তাকে আসামী করা হয়নি।
মামলা নথিভূক্ত হওয়ার পরেও আসামীদ্বয় রাষ্ট্রের আইন অমান্য করে গভীর রাতে একতলার ছাদ ঢালাই করেন এবং দুইদিন পর আদালত থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন লাভ করে বীরদর্পে দ্বিতীয়তলার ছাদ ঢালাই করেন। এতে এলাকাবাসীসহ সৈয়দপুরের সকল সাধারন নাগরিক মনে করছেন রেলের আইনে কি কিছুই নাই? মামলা হওয়ার পরেও শর্তসাপেক্ষে জামিন নিয়ে আদালতকে অবমাননা করে সরকারী জমিতে পূনরায় নির্মান কাজ করা রেল মন্তণালয় ও দেশের প্রচলিত আইনকে চ্যালেঞ্জ করার শামিল।
এব্যাপারে স্থানীয় প্রমাসন আইডাব্লু, কানুনগোকে প্রশ্ন করা হলে তারা কোন সঠিক সদুত্তর দিতে পারেন নাই। বিষয়টি পর্যবেক্ষন করে এটি প্রতীয়মান হয় যে মোটা টাকা হাত বদল করে এইসব নির্মান কাজ চালানো হচ্ছে। তবে কি রেলওয়ে একটি অকর্মন্য প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে? তাদের মূল্যবান জমি এভাবে ভূমিদস্যুরা দখল করে একের পর এক বহুতল ভবন নির্মান করছে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব এব্যাপারে রেলের কি কোনই দায়বদ্ধতা নেই?
Leave a Reply