পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১নং অমরখানা ইউনিয়নের সোনারবান গ্রামের আরমান আলীর বাড়ীর চৌরাস্তা হতে পাথরঘাটা জামাদার পাড়া আলাউদ্দীনের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বের মোট ৯৭ টি ইউক্যালিপ্টাস গাছ কাঠ ও জ্বালানীসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় হতে দরপত্রের মাধ্যমে কর্তনের অনুমতি পায় মোঃ আশরাফ ছিদ্দিক সোহেল। (০৯/০৯/২০ ইং তারিখ, স্মারক নং ০৫.৪৭.৭৭.৭৩.০০০.৩১.০৩৫.২০-৮২৫, লট নং ৪) কিন্তু উক্ত ঠিকাদার দরপত্র উল্লেখ্যিত ৯৭ টি গাছ কর্তনের পরেও অতিরিক্ত প্রায় ১১টি গাছ কর্তন রাতারাতি সরিয়ে ফেলে এবং গাছের মুড়া মাটি দিয়ে ঢেকে আত্মসাৎ এর চেষ্টা করে। যা অত্র ইউনিয়নের স্থানীয় সচেতন মহলের ৫ জন ব্যাক্তি জনগণ ও সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে গত ২৮/১০/২০ তারিখে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে অতিরিক্ত গাছ কর্তন ও মুড়া মাটি দিয়ে ঢেকে নিশ্চিন্ন করার আলামত ও সত্যতা পাওয়া যায়। এ নিয়ে সচেতন মহল সহ পুরো জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগকারীগণ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, এই ঠিকাদার কিছু দিন পূর্বে অত্র ইউনিয়নের বড় কামাত গ্রামে দুর্নীতি ও অনিয়মে নির্মিত কালভার্টির ঠিকাদার না হওয়া সত্ত্বেও তাঁর নির্দেশনা ও উপস্থিতিতে তৈরি হয়েছে যা স্থানীয়রাও সাক্ষ্য দেন। যা একমাস যেতে না যেতেই ভেঙ্গে যায় এবং প্রকাশ পায়। আরো বলেন, যদি এই গাছ আত্মসাৎকারী ঠিকাদারকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া না হয় তাহলে এসব অপরাধ সে আবার করবে। আমরা আশা করছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।
Leave a Reply