খন্দকার জলিল স্টাফ রিপোর্টার :পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিনে সাগর পাড়ে অবস্থিত। এখানে বর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে একটু বেশি পানি হলেই প্লাবিত হয় নিম্নাঞ্চল। তাছাড়া ঘুর্নিঝড় জলোচ্ছ্বাস দেখা দিলে চরাঞ্চল তলিয়ে যায় পানির নিচে। দেখা দেয় মহামারি দূর্যোগ। জোয়ারের পানি এবং জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নদী তথা সমুদ্র পাড়ে নির্মান করা হয়েছে ভেরী বাঁধ। ভেরী বাঁধের উপর দিয়ে তৈরী করা হয়েছে পাকা সড়ক। যে পাকা সড়ক দিয়ে যেতে হয় এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় এবং জেলা শহর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।গলাচিপা উপজেলা উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে স্রোতের তোড় অনেক বেশি থাকায় এবং বার বার জলোচ্ছ্বাসের কারনে একাধিক স্থানে ভেরী বাঁধ ভেঙে যায় যাহাতে গাড়ি চলাচল সহ সাধারনের চলাচলে দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি। পূর্ব থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হইলে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা। একেবারেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে চলাচল। নেই কোন বিকল্প ব্যবস্থা।গত বর্ষা মৌসুমে ঘুর্নিঝড়ে উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের তেতুল তলা সংলগ্ন এবং দক্ষিন পূর্ব পানপট্টির পাকা রাস্তা ভেঙ্গে জোয়ারের পানি ভিতরে প্রবেশ করায় ফসল গবাদিপশু সহ বাড়ী ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা দেয়। যার স্থায়ী কোন সমাধান এখনও হয়নি। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উপকূলবর্তী এলাকার সাধারন মানুষ।গলাচিপা খেকে পটুয়াখালী যাতায়াতের একমাত্র সড়কটিরনদী পাড় ভেঙ্গে সড়ক ছুঁইছুঁই আর একটু হলেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে চলাচল। রাংগাবালী এবং গলাচিপা এই দুই উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র হাইওয়ে সড়ক এটি।সরে জমিন পরিদর্শন করে দেখা যায় আমখোলা গজালিয়া নদীর মাঝখানে একটি নতুন চর জেগে উঠায় স্রোতের গতি পরিবর্তন হওয়ায় আমখোলা ইউনিয়নের মুশুরীকাঠি গ্রামের উপর দিয়ে পটুয়াখালী জেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র হাইওয়ে রাস্তাটি ভেরী বাঁধের উপর দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। তার পাশেই রয়েছে গভীর রামাবাদ নদী। কয়েক বছর পূর্বে উক্ত নদীর মাঝখানে একটি চর জেগে উঠায় স্রোতের গতি পরিবর্তন ঘটে। যাহাতে আমখোলা ইউনিয়নের নদী পাড়ে তীব্র ভাঙ্গর দেখা দেয়। নদীর গভীরতা এবং স্রোতের তীব্রতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী থাকায় উপজেলার পানপট্টি লঞ্চ ঘাটে দেখা দিয়েছে আকস্মিক ভাঙ্গন। যার ফলশ্রুতিতে নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে অনেক বাড়ীঘর এবং ফসলী জমি। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পানপট্টি লঞ্চ ঘাটের হাজারো মানুষ। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় বন্যা এবং ঘুর্নিঝড়ের খবর শুনলেই খাওয়া এবং ঘুম বন্ধ হয়ে যায়। সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকে কখন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় তাদের বাড়িঘর। পানপট্টি লঞ্চ ঘাটের ভেরী বাঁধের উপর থাকা প্রায় শতাধিক দোকান নদীতে ভেঙে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সমস্ত এলাকায় ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য উপযোগী তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এসংক্রান্তে পটুয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হইলে তারা জানায় এলাকায় জরিপ কার্য সম্পন্ন করে উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বরাদ্দ পাশ হলেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সামনে বর্ষা মৌসুম এখনই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা না হইলে জান মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন মতামত ব্যক্ত করেছেন।
Leave a Reply