
মোঃ কবির হাওলাদার
সিনিয়র রিপোর্টার
পটুয়াখালী জেলার বিতর্কিত ও মামলার আসামি রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) মোঃ জাকির হোসেন এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রক্ষক হয়ে নিজেই ভক্ষক হয়ে অদৃশ্য ভূমিকায় সরকারি জমি দখল, বিভিন্ন ঘাট ও হাট-বাজার এর খাস আদায়, খাস জমির মাটি কাঁটতে দেয়া, ভূমি বন্দোবস্ত, নামজারী এবং সরকারি খাজনা আদায় এর নামে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ বাণিজ্যের ভয়াবহ দূর্নীতি অভিযোগ উঠেছে। নাম না বলা শর্তে একাধিক ভুক্তভোগীরা বলেন, জাকির তহসিলদার টাকা ছাড়া কোন কাজ করেনা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে পূর্ব বাহের চর স্লুইজ মাইকেল তালুকদারের নামে খাস আদায় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। চর মোন্তাজের ও চর কাশেম এলাকার বিভিন্ন মাছের ঘেড় মালিকদের কাছ হতে মাসোয়ারা নিয়ে সরকারি খাস জমিতে ঘেড় নির্মান করতে দিচ্ছে। এ যেন দূর্নীতি শেষ নেই, ২০২৫-২৬ অর্থ বছর চরমোন্তাজ ইউনিয়নের মাঝের চর ঘাট হতে ২ লক্ষ টাকা, দার ভাঙ্গা ঘাট হতে ৬৫ হাজার টাকা, আন্ডার চর খেয়া হতে ২.৫ আড়াই লক্ষ টাকা, মন্ডল স্লুইজ বাজার হতে ৫০ হাজার টাকা, মোন্তাজ স্লুইজ বাজার হতে ২ লক্ষ টাকা সরকারি রাজস্ব কোষাগাড়ে চালান জমা না দিয়ে খাস আদায়ের নামে নিজ পকেটে ঢুকিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।এখানেই শেষ নয়, রাঙ্গাবালী উপজেলা বি এন পির ২নং যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান নান্নু মৃধার অবৈধ মাছের ঘেড় উচ্ছেদ করার কারণে তারই অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা কাজী মোঃ জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে সোশ্যাল মিডিয়াতে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন বিতর্কিত তহসিলদার জাকির হোসেন। এবিষয়ে মুঠোফোনে উপ-সহকারী কর্মকর্তার, কাজী মোঃ জাহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সরকারি কর্মচারী বা রাষ্ট্রের সেবক মাত্র, আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দ্বায়িত্ব পালন করেছি, আদেশ পালন করতে গিয়ে অনুমান করছিলাম আমার অফিসের কারও ইন্দোনে আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার শুরু করেছে। তা ছাড়া আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ’ই ভালো বলতে পারবেন। এদিকে তহসীলদার জাকির হোসেন নিজের’ই কম্পিউটার অপারেটর অদক্ষতা থাকায় সরকারি নিয়ম নীতির বহির্ভূত হয়ে ভূমি সহয়তা কেন্দ্রের বিতর্কিত এস. এম. জাবের কে দিয়ে সকল অনৈতিক ও অবৈধ লেনদেনের একমাত্র বাহক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তহসিলদার জাকির হোসেন, রয়েছে তার বিলাসবহুল গাড়ি ও ফ্লাট বাড়ি। শুধু তাই নয়, তার এই বে- পা রো য়া কার্যকলাপে বিগত ২০২২ সালে ৭’ই নভেম্বর মাসে গলাচিপা উপজেলায় চাকুরী করার সুবাদে শশুর বাড়ি আত্মীয় স্বজনের স্বজনপ্রীতি আর ক্ষমতার জোয়ারে চরবিশ্বাস ইউনিয়নের আমগাছিয়া লঞ্চ ঘাটের পাশে এক্সক্যাভেটর (ভেকু) দিয়ে সরকারি মাটি ও বনবিভাগের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ মামলায় জেল কারাভোগ করেন বিতর্কিত তহসিলদার মোঃ জাকির হোসেন। এবং ৮০ একর সরকারি জমি দখল করেছেন, যার ধারাবাহিক প্রতিবেদনে দ্বিতীয় পর্বে বিস্তারিত প্রকাশিত হবে। বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি অভিযোগের বিষয়ে রাঙ্গাবালী সদর ইউনয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। এবিষয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও (অঃদাঃ) সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজীব দাশ পুরকায়স্থ বলেন,সদর ইউনয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন এর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ পেয়েছি এবং আপনাদের মাধ্যমেও অভিযোগ পেলাম। তার বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ গুলো ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply