পল্লবীতে যুবলীগ নেতা খালেকুজ্জ
রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে খলিলুর রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে যুবলীগ নেতা খালেকুজ্জামান জীবনের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেছেন যুবলীগ নেতা মোঃ খালেকুজ্জামান জীবন, পিতা মৃত মোবারক আলী খালাসী, মাতা আমিরুন নেসা, বর্তমান ঠিকানা সেকশন ১১ ব্লক- এফ, এর বাসিন্দা।
আসামিরা হলেন, ১. মোঃ খলিলুর রহমান, বয়স (৪৮), পিতা মোঃ ইউনুস ভান্ডারী সাং সেকশন ১১, ব্লক বি, লাইন- অজ্ঞাত। ২. মোঃ জলিল বেপারী, (৬০), পিতা মৃত নুরুল ইসলাম বেপারী, সাং অজ্ঞাত। ৩. মোঃ আঃ জব্বার বেপারী (৫৫), পিতা মৃত নুরুল ইসলাম বেপারী, সাং অজ্ঞাত। ৪. মোঃ রফিক বেপারী (৪০), পিতা মৃত নুরুল ইসলাম বেপারী, সাং অজ্ঞাত, সর্ব থানা পল্লবী ঢাকা। ৫. মোঃ রহিম (৪০), পিতা আব্দুর রাজ্জাক, সাং সেকশন ১১, ব্লক বি বাউনিয়াবাধ থানা পল্লবী ঢাকা। ৬. মোঃ সাদ্দাম (৩০), পিতা অজ্ঞাত, সাং সেকশন ১১, ব্লক বি বাউনিয়াবাধ থানা পল্লবী ঢাকা। ৭. মোঃ বাবু (২৭), পিতা লাল মিয়া, সাং সেকশন ১১, ব্লক বি বাউনিয়াবাধ থানা পল্লবী ঢাকা। গানসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ বিবাদীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মোঃ খালেকুজ্জামান জীবন বলেন, আমি সুজা উদ্দিন সাহেবের জমির দেখাশোনা করি গত ১০/১০/২০২০ খ্রিঃ তারিখে সেনাবাহিনী কর্তৃক ১২০ ফিট রোডের ফুটপাতের জায়গার সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ করে দিয়ে যায়। ১১/১০/২০২০ খ্রিঃ তারিখে সকাল ১০টায় উক্ত জায়গার সীমানার পিলার বসানোর জন্য কয়েকজন লেবার নিয়ে কাজ করার সময় বিবাদী গন আমাকে সীমানা প্রাচীরের পিলার বসানোর কাজে বাধা দেয় এবং তাদের সাথে আলোচনা না করে এখানে কাজ করতে পারবো না বলে জানায়। উক্ত বিবাদীদের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হলে বিবাদী গন আমাকে দেখে নিবে বলে ভয় ভীতিও হুমকি দেয়। বিবাদীদের এহেন হুমকিতে আমি কাজ বন্ধ করব না বলে জানালে উপরোক্ত বিবাদী গন সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ বিবাদী ১১/১০/২০২০ তারিখে সকাল ১০টায় পল্লবী থানাধীন কালশী রোডস্থ লোহার ব্রীজের উত্তর পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর বেআইনি জনতাবদ্ধে হাতে ধারালো দা, লোহার রড, কাঠের বিট নিয়ে আমার উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি মারপিট করে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
তিনি আরো বলেন, বিবাদী জব্বার বেপারী হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় কোপ দিলে আমার মাথার ডান পার্শ্বে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। বিবাদী রফিক বেপারীর লাঠির আঘাতে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি তারপর বিবাদী গন আমাকে লোহার রড দিয়ে আমার মাথায় বুকে পিঠে দুই হাতে দুই পায়ের উপর এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। আমার পকেটে থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় যাহার মূল্য (৬৫,০০০), টাকা। আমি চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে বিবাদীদের বাধা দিলে বিবাদীরা পরবর্তীতে আমাকে সুযোগ মত পেলে প্রাণে শেষ করে ফেলবে বলে ভয় ভীতিও হুমকি দিয়ে চলে যায়। সংবাদ পেয়ে আমার পরিচিত মিঠু তানভীর রুবেল তাৎক্ষণিক আমাকে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
এ ব্যাপারে মোঃ খলিলুর রহমান সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষে আমার নামে মিথ্যা মামলা করছে। আমি সুজা উদ্দিন সাহেবের কাছে বালু ভরাটের টাকা পাব এর জন্য সুজা উদ্দিন সাহেবের জায়গায় দোকান দিয়ে আমি ভাড়া নিচ্ছি। খালিকুজ্জামান নিজেই মাথা ফাটিয়ে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে এস আই কাওছার মাহমুদ বলেন, মামলা হয়েছে এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে পল্লবী থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, খালেকুজ্জামান জীবন থানায় অভিযোগ করেছে এ বিষয় আমার জানা নাই আপনি তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেন।
Leave a Reply