শিরোনাম :
কসবায় সাংবাদিকদের মিলন মেলা ও বনভোজন: ঐক্যের আহ্বানে এক অনন্য দিন দ্বীপজেলা ভোলা নাগরিক ঐক্য ফোরামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ভোলার উন্নয়ন ও নাগরিক অধিকারে ঐক্যবদ্ধ নতুন নেতৃত্বের অঙ্গীকার **চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী লায়ন মো. হারুনুর রশিদ বলেন— “তারেক রহমান জনগণের হৃদয়ের কথা জানেন”** আশুগঞ্জে ১২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারী গ্রেফতার ট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ সিগারেট, নিষিদ্ধ আমাদানি ক্রিম, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে আরেকটি ১/১১ হবে : রাশেদ খান জলঢাকায় বন্ধু মহলের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপি’র বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ফাজিল পরীক্ষায় নয় পরীক্ষার্থী বহিস্কার চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ

পাবনার আটঘরিয়ায় মূলেকাটা পিয়াজ চাষের পরিচর্যা চলছে পুরোদমে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৪৭ বার পঠিত

ইব্রাহিম খলিল পাবনা  প্রতিনিধি:

পাবনার আটঘরিয়ায় মৌসুমি কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মূলেকাটা পিয়াজ চাষের পরিচর্যায়। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মাঠজুড়ে সবুজ পিয়াজ গাছের সমারোহে চারদিকে যেন সবুজের উৎসব। কৃষকরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার পিয়াজের ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে—দেবোত্তর, একদন্ত, লক্ষ্মীপুর, মাজপাড়া,চাঁদভা ও পৌরসভা  এলাকায় শতাধিক হেক্টর জমিতে মূলেকাটা পিয়াজের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা জমিতে নিড়ানি, সেচ ও রোগবালাই দমনসহ নিয়মিত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, “গত বছর ভালো দাম পেয়েছিলাম, তাই এবার একটু বেশি জমিতে মূলেকাটা পিয়াজ লাগিয়েছি। এখন নিয়মিত সেচ ও আগাছা দমন করছি। আল্লাহ চাইলে ফলন ভালো হবে।”  কৃষক আলম জানান, আমার সোয়া বিঘা জমিতে মূলেকাটা পিয়াজ লাগিয়েছি। বীজ খরচ ১৮হাজার টাকা। লেবার, সার- কীটন্যাশক ও সেচসহ খরচ ১২ হাজার টাকা। সব মিলে খরচ আসবে ৩০ হাজার টাকা। মূলেকাটা পিয়াজের জমি লিজ নিয়ে চাষ করলে পেঁয়াজ চাষের খরচ আরও বহুগুনে বেরে যায়। এতে দাম ও ফলন কম হলে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আবহাওয়া ও ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৫০-৬০ মণ পর্যন্ত হয়। যার বাজার মূল্য বিঘাপ্রতি ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আশা করা যায়। কৃষক রবিউল বলেন, আমাদের এই কয়ড়াবাড়ি মাঠে অনেকেই মূলেকাটা পিয়াজ লাগিয়েছে। তার মধ্যে আমার আধাবিঘা,কামাল আধাবিঘা,আজির উদ্দিন তিন পোয়া, জিয়ারুল ১২ শতক,কালাম আধাবিঘা,শাহেদ সরদার তিন পোয়া। আমরা কার্তিক মাসের প্রথম থেকে এই পিয়াজ লাগানো শুরুকরি  এবং চৈত্র মাসে ঘরে তুলতে পারবো বলে আশা করি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদা মোতমাইন্না  বলেন, “মূলেকাটা পিয়াজ চাষে এ অঞ্চলের কৃষকরা বেশ দক্ষ হয়ে উঠেছেন। সময়মতো পরিচর্যা করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। কৃষকদের আমরা নিয়মিত পরামর্শ ও সার-বীজ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।” কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সঠিক পরিচর্যা ও অনুকূল আবহাওয়া থাকলে চলতি মৌসুমে আটঘরিয়া উপজেলায় প্রায় কয়েক হাজার টন মূলেকাটা পিয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে এবং স্থানীয় বাজারেও সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com