আছমিনা খাতুন, পিতা-মৃত আশরাফ আলী, সাং-ফোরশেদপুর, থানা-দর্শনা জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর সাথে মোঃ শাহাবুল ইসলাম, পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাং- ফোরশেদপুর, থানা-দর্শনা জেলা-চুয়াডাঙ্গার ০৪ বছর আগে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়।
গত ০১ বছর থেকে বিভিন্ন সময়ে শাহাবুল তার স্ত্রী আছমিনার নিকট বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবী করে আসছিল। আছমিনা সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময়ে তার পিতার বাড়ী হতে টাকা এনে তার স্বামীকে দেয়। এরপরও শাহাবুল আরো টাকার জন্য আছমিনা’কে চাপ প্রয়োগ করলে আছমিনা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে শাহাবুল তার স্ত্রী আছমিনাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতনসহ তালাকের ভয় দেখায়।
আছমিনা খাতুন বিভিন্ন জায়গায় তার সমস্যার সমাধান না পেয়ে অবশেষে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মহোদয় উক্ত অভিযোগটি তার কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এ কর্মরত নারী এএসআই (নিরস্ত্র)/মিতা রানী বিশ্বাস’কে দিলে তিনি উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোঃ শাহাবুল (৩০), এবং মোছাঃ আছমিনা খাতুন(২৪) দম্পত্তি পুনরায় সংসার করতে সম্মত হয়। ফলে উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের কল্যাণে আছমিনা খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার।
Leave a Reply