গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নাকাই ইউনিয়নের পোগইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষের সুন্দর্য বর্ধক ২লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি আম গাছ,দুইটি এন্টি কড়াই গাছ ঝরে নষ্ট দেখিয়ে, গোপন নিালামে আপন ভাই ও বন্ধুকে নিলামের দরদাতা দেখিয়ে মাত্র ২৯ হাজার টাকায় নিলামে কেনার অভিযোগ বিদ্যালয়ের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ডাবলুর বিরুদ্ধে।এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের পোগইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষের সুন্দর্য বর্ধক ২লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি আম গাছ, ও দুইটি এন্টি কড়াই ছিল, এই গাছগুলি শুধু সুন্দর্য বর্ন্ধনি নয়,তীব্র রোদে গাছের ছায়ায় ছোট শিক্ষার্থীরা খেলা,ধুলাসহ পিটি ,প্যারেট করতো।কিন্তু স্বার্থনেষী মহলের নজর পড়ে গাছগুলি।
সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ডাবলু প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে শতবর্ষের মুল্যবান গাছ ঝরে নষ্ট/ভেঙে পড়া দেখিয়ে নিলামে আবেদন করে শিক্ষা অফিসে। সেখানে জনৈক অফিস সহকারীর মাধ্যমে সভাপতির আপন ভাই পারভেজ ও বন্ধু জিয়াউরকে নিলামের দরদাতা দেখিয়ে মাত্র ২৯ হাজার টাকায় গাছগুলি ক্রয় করে গাছগুলির সিংহ ভাগ টাকা আত্নসাৎ করে বিদ্যালয়ের সভাপতি রশিদুল ইসলাম ডাবলু। এবং সেই গাছ বিক্রির টাকার অর্ধেক গোড়া ভরাটে খরচ দেখিয়ে১৪ হাজার ৫’শ টাকা ট্রেজারী চালানে জমা দেয়। এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহারুল ইসলামের নিকট ফোন করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে আমাকে গাছ অপসারনের জন্য চাপ দেয়, যার ফলে আমি আবেদন পাঠাই।
গাছ কত টাকা বিক্রি হয়েছে কে কেটেছে এ বিষয়ে আমি জানি না, আপনি শিক্ষা অফিসে সব তথ্য পাবেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলীর নিকট ফোন করলে ফোনে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় স্কুলের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ডাবলুর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে ৩৯ হাজার টাকায় গাছ তিনটি বিক্রি করা হয়েছে বলেন এবং এ বিষয়ে নিউজ করলে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকিদেন। তিনি ওই বিদ্যালয়ের মুল্যবান গাছ নামমাত্র ক্রয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের কাগজ পত্রের মাধ্যমে জানা যায়, নিলামে ৩টিগাছ মাত্র ২৯ হাজার টাকায় গাছ ক্রয় করেন পোগইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রশিদুল ইসলাম,ওই নিলামের কাগজে সভাপতির আপন ভাই পারভেজ ও বন্ধু জিয়াউরকে নিলামের দরদাতা দেখানো হয়। এছাড়াও ওই বিদ্যালয়ের রুটিন, মেন্টেনেন্স, সংস্কার সহ বিভিন্ন বরাদ্দের কাজের তথ্যে প্রধান শিক্ষক/সভাপতি ও ভাউচারসহ অফিস সহকারী কাম দপ্তরির বক্তব্যে গড়মিল পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ঘনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিসট্রেট রাম কৃষ্ণ বর্মন সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যালয় গুলির বিষয়ে শিক্ষা অফিস বেশী খোঁজ খবর রাখেন। আর এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply