শনিবার /২৭/ফেব্রুয়ারি /২০/২১/
আজ শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী মহানগর পুলিশ বিস্তারিত
রাজশাহী মহানগরীতে নারী দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় চক্রের ভুয়া ডিবি পুলিশ, সাংবাদিকক ও নারীসহ ৪ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নগর গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলেন, সেনাবাহিনীর সাবেক সিপাহী ও মুল পরিকল্পনাকারী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৩৬), পটুয়াখালি জেলার রাঙ্গাবালি থানার তুহিন সরকার (৩২), চারঘাট উপজেলার বাসিন্দা সেলিনা আক্তার ওরফে সাথী (২৫) ও একই উপজেলার খাইরুল ইসলাম (২৬)। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আরএমপির সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, অপকর্মের মুল পরিকল্পনাকারী মনোয়ার হোসেন প্রতারক চক্রের সদস্য সেলিনা আক্তার ওরফে সাথীকে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে। চলতি বছরে জানুয়ারী মাসে ২৬ তারিখে কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন রিয়াজুল ইসলাম (৬৭) এর বাড়ির তৃতীয় তলা ভাড়া নেন। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাথী ভূক্তভোগী রাজশাহীর চারঘাট শাখার অগ্রণী ব্যাংক ব্যবস্থাপক বকুল কুমার সরকার (৪০) কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারি তার ভাড়া বাসায় কৌশলে ডেকে নেয় ব্যাংক ব্যবস্থাপককে। বাড়িতে ডাকার পর পাশের কক্ষে লুকিয়ে থাকা প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের সেই কক্ষে পাঠিয়ে দেয়। ওই সময় প্রতারক মনোয়ার ডিবি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে, প্রতারক তুহিন
সাংবাদিক এবং প্রতারক খাইরুল ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে বকুলকে আটকের হুমকি দেয়। প্রতারক খাইরুল ভূক্তভোগীর হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেয় ও মনোয়ার ভুক্তভোগীর পেছনে নকল পিস্তল ঠেকিয়ে বলে যে, তোর কাছে যা আছে দিয়ে দে নাহলে গ্রেফতার করে মেয়েসহ আদালতে চালান করে দিব। এরপর প্রতারক তুহিন তাকে বলে টাকা না দিলে মেয়েসহ তার ছবি সংবাদপত্রে প্রকাশ করে দেয়ার হুমকি দেয় ও মাররধর করে। জীবন বাঁচাতে ভুক্তভোগী তার পকেটে থাকা ২৬ হাজার টাকা দেয়। এছাড়াও ভূক্তভোগীর নিজের মোবাইল ফোন দিয়ে তার পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীদের নিকট হতে বিকাশের মাধ্যমে আরো ৪৪ হাজার টাকা নিয়ে দেয়।
বিকাশ লেনদেনের তথ্য সূত্র ধরে মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রতারকদের আটক করে। এ সময় চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে নকল পিস্তল, পুলিশ লেখা হ্যান্ডকাফ, ডিবির ভুয়া জ্যাকেট, ৬ টি মোবাইল, ৯টি সিমকার্ড, জাল ডলার, সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত ছবি ৪ কপি ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া ১৫ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিবি উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল, নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সদর গোলাম রুহুল কুদ্দুস, ডিবির এসি রাকিবুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ
Leave a Reply