মোঃ সনজব আলী হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।হবিগঞ্জ শহরের জুডিশিয়াল আদালত প্রাঙ্গণে আলোচিত জনি দাশ হত্যা মামলার আসামি সাজু মিয়াকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে একদল ক্ষুব্ধ যুবক। বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে আদালত এলাকায় এ উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।হত্যা মামলার আসামি সাজু মিয়াকে (২২) আদালতে হাজির করলে, তার উপর হামলা চালিয়ে মারধর ও পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে জনি দাশের কিছু সহপাঠী ও স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। তবে পুলিশ ও আইনজীবীদের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে ঘটনার বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হয়। পুলিশ হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে এবং আইনজীবীরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।এ ঘটনায় হবিগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক শেখ নাজমুল হক বলেন, “কিছু ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী সাজুকে মারধরের চেষ্টা করে। তবে পুলিশ সতর্ক থাকায় তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।”এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ভোরে হবিগঞ্জ শহরের ডকঘর এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত হয় স্কুলছাত্র জনি দাশ (১৭)। সে হবিগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং নর্ধন দাশের ছেলে। ওই দিন ভোরে বাসার পাশে শব্দ পেয়ে বাইরে বের হলে এক অপরিচিত যুবকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে জনিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় জনির বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর তদন্তে নেমে পুলিশ সোমবার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাক গ্রামের সাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে সাজুকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে পুলিশ আদালতে হাজির করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। হাজিরার সময়েই আদালত প্রাঙ্গণে হামলার এ ঘটনা ঘটে।হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহাবুদ্দীন শাহীন বলেন, “জনির কিছু সহপাঠী দলবেঁধে আসামির ওপর হামলার চেষ্টা করে। তবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Leave a Reply