জামালপুরে অজ্ঞাত কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর মর্গে গিয়ে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেছে কিশোরীর মা জয়নব বেগম।নিহত ওই কিশোরী শহরের পাথালিয়া বকুলতলা এলাকার আব্দুল সফুরের মেয়ে সামিয়া আক্তার(১৩)।সে শাহজামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।আজ মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকালে শহরের মনিরাজপুর মোড় এলাকার একটি মেহগনি গাছের বাগান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সামিয়ার লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
নিহত সামিয়ার মা জয়নব বেগম জানান, সামিয়া ৭ মাস পূর্বে শহরের কাচারিপাড়া এলাকার মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে জনির সাথে সে পালিয়ে গেলে আমরা থানায় অভিযোগ করি।পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। কয়েকদিন পর সে আবার পালিয়ে যায়।সামিয়া শহরের ফুলবাড়িয়া মুন্সিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়িতে আছে জানতে পেয়ে আনতে গেলে সে বাড়িতে ফিরতে অনিহা প্রকাশ করে। নুরুল ইসলামকে বাবা ও তার স্ত্রী সাজেদা বেগমকে মা বানিয়ে তাদের কাছেই থাকতো। তিনদিন আগে আমি ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। সামিয়া আমার কাছে দুই লাখ টাকা চায় এবং জনির সঙ্গেই থাকবে বলে জানায়। সকালে সামিয়ার লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে হাসপাতালের মর্গে এসে মেয়েকে দেখে চিনতে পারি।
সামিয়ার বানানো মা সুজেদা বেগম জানান, সামিয়া গতকাল বিকেলে ওষুধ কেনার জন্য বাড়ী হতে বের হয়ে আর ফেরেনি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে তার বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছি। আজ দুপুরে বাড়িতে পুলিশ আসার পর জানতে পারি সামিয়ার ফাঁসিতে ঝুলন্ত লাশ মনিরাজপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সামিয়ার প্রেমিক জনির পরিবার সূত্র জানায়,সামিয়া প্রেমের সম্পর্কের দাবি নিয়ে গত সাত মাস আগে জনিকে বিয়ে করতে আমাদের বাড়িতে আসে। আমরা তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে পুলিশে খবর দেই।পরে পুলিশ সামিয়াকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন।পরবর্তীতে জনির সাথে তার কোনো সম্পর্ক ছিল বলে আমরা জানিনা।
জামালপুর সদর থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম খান জানান, প্রাথমিক তদন্তে ওই কিশোরীর পরিচয় পাওয়া গেলে কিশোরীর মা জয়নব বেগম মর্গে এসে সামিয়ার লাশ শনাক্ত করেন।এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।কিশোরীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
Leave a Reply