দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও বগুড়ায় আবারো সক্রিয় হয়েছে কিশোর গ্যাং। যার খুন হলো রশিদুল ইসলাম নামে এক যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের রহমান নগর সরকারি পাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত রশিদুল ইসলাম ওই এলাকার লাল মিয়ার ছেলে পেশায় তিনি একজন টেলিকম ব্যবসায়ী। স্থানীয়রা জানান দুপুর পৌণে ২ টার দিকে রহমান নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কয়েকজন কিশোর শান্ত নামে দশ বছর বয়সী এক শিশুকে মারধর করতে থাকে। ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে তার বাবা বশির উদ্দিন এগিয়ে গিয়ে ছেলেকে রক্ষার চেষ্টা করলে তার উপরও চড়াও হয় এবং তাকেও মারধর করে ওই কিশোররা। এ সময় ওই দিক দিয়ে শান্তর মামা রশিদুল ইসলাম যাচ্ছিলেন। তিনি তার ভাগনা ও ভগ্নিপতিকে মারধর করতে দেখে প্রতিবাদ করেন। এরই এক পর্যায়ে কিশোরদের মধ্যে হতে একজন পিছন দিক থেকে রশিদুলকে পাজরে ছুরিকাঘাত করে। এছাড়া রশিদুলের ভগ্নিপতি বশিরের উরুতে ছুরিকাঘাত করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে কিশোররা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রশিদুল ও তার ভগ্নিপতিকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান রশিদুল।স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আরিফ হোসেন বলেন সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে সামান্য ঘটনা নিয়ে ছুরিকাঘাতে কিশোররা রশিদুলকে খুন করেছে। তিনি খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন খুনি কিশোরদের মধ্যে একজন সিগারেট খায় শান্ত বিষয়টি দেখে ফেলে এবং অন্যদেরকে বলে দেয়। এরই জের ধরে ওই কিশোররা ক্ষিপ্ত হয়ে শান্তকে মারধর করে। তার মামা রশিদুল ওইদিক দিয়ে যাবার সময় দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে রশিদুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
Leave a Reply