বরগুনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শারমিন (২২) নামের এক কলেজ ছাত্রীকে পানিতে চুবিয়েছে প্রতিপক্ষ। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শারমিনের মা রানী বেগমও আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা ১১:৩০ মিঃ দিকে সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। শারমিন বদরখালী এলাকার এলাকার শাহ আলমের মেয়ে। তিনি শারমীন বরগুনা সরকারি কলেজে স্নাকোত্তর ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত।
শারমিনের বাবা শাহ আলম জানান, সম্প্রতি তিনি ঘরের পেছনের শানুর একাংশ জমি কিনে নিয়েছেন। শানুর ভাই পনু মেকার ওই জমি ভোগদখলে বাঁধা দিলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার ১১টার দিকে শারমিনের মা রানী বেগম ঘরের পেছনে কাজ করছিলেন। এসময় পনু ও তার ছেলে শহীদ সেখানে এসে বাঁধা দেয় গালাগাল করতে থাকে। মাকে গালি গালা করতে দেখে শারমিন তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে থাকে। এতে ক্ষিপত্ত হয়ে পনু ও শহীদ শারমিনের মা রানী বেগমকে মারধর করে ও গালাগাল করতে করতে তার দিকে তেড়ে আসে। দ্র্রুত ঘরে আশ্রয় নেয় শারমীন।
কিন্ত শহীদ ঘরে প্রবেশ করে শারমিনকে টেনে হিচরে বের করে মুঠোফোনটি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ফোনটি পুকুরে ছুড়ে ফেলে সে। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয় শহীদ ও তার বাবা পনু। শারমিনকেও ধাক্কা মেরে পুকুরে ফেলে চুবিয়ে আহত করে। এসময় ভাই সবুজের স্ত্রী খাদিজা বেগম শারমীনকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে তার হাতেও কামড় বসিয়ে দেয় শহীদ। এক পর্যায় প্রতিবেশীরা শারমিনকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্ত অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে সেখানকার চিকিৎসরা উন্নত চিকিৎসার জন্য শারমিনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এদিকে এ ঘটনার পর পনু ও শহীদও বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জানতে চাইলে শারমিন ও তার মাকে মারধরের বিষয়টি উভয়েই অস্বীকার করে বলেন, ওরাই আমাদের মেরেছে তাই আমরাও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে পুলিশ অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
Leave a Reply