ইমতিয়াজ আহমেদ: বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত স্থানীয় শ্রমিকদের চলমান বিক্ষোভে গুলিতে বহুসংখ্যক হতাহতের ঘটনায় নিন্দা এবং প্রতিবাদ করেছে “বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা)”।শনিবার (১৭ এপ্রিল) বাপার কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি সুলতানা কামাল ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিলের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।বিবৃতিতে বলা হয়,১৭ এপ্রিল, ২০২১ শনিবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ‘এস আলম’ গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত স্থানীয় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি,অতিরিক্ত কাজের পারিশ্রমিক,শুক্রবার অর্ধদিবস কাজ ও ইফতারের জন্য বিরতির যৌক্তিক দাবিতে চলমান বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হবার ঘটনা ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে বাঁশখালির এই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্বার্থরক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এহেন বেপরোয়া আচরণ নতুন কোন ঘটনা নয়।১৬ সালের ৪ঠা এপ্রিল একই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভূমি অধিগ্রহণের সময়েও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ৪ জন নিহত ও বহুসংখ্যক গ্রামবাসী আহত হয়, যার গ্রহণযোগ্য কোন নির্মোহ তদন্ত ও বিচার অদ্যাবধি হয় নাই।সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের ন্যাস্ত দায়িত্ব পালন না করে উল্টা পুলিশ বাহিনী কর্তৃক এমন নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও মানুষ হত্যার তীব্র নিন্দা জানায় বাপা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বাঁশখালির ঘটনায় জড়িত খুনিদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার এবং ২০১৬ সালের হত্যাকাণ্ডসহ উভয় ঘটনার স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানায়। পাশাপাশি বাপা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিয়ে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকারক এই প্রকল্পসহ সকল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ বাতিলের দাবি জানায়।
Leave a Reply