শিরোনাম :
ধোবাউড়ায় মাধ্যমিক স্কুল-মাদ্রাসা পর্যায়ে গ্রীষ্মকালীন সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ধোবাউড়ায় পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্স ধোবাউড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজামণ্ডপে জিআর চাল বিতরণ কক্সবাজার রামু মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে ১ লাখ ২৪ হাজার ইয়াবাসহ যুবক আটক শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে যশোরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা — চার সেক্টরে স্ট্রাইকিং টিম, ৪০ মোবাইল টিম, ১৭২ মোটরসাইকেল টিম মাঠে; সাইবার ক্রাইম টিমও থাকবে ২৪ ঘণ্টা তৎপর ঝিনাইদহে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে তালা ভেঙে চুরি *আজমতপুর সীমান্তে যৌথ অভিযানে ০১টি বিদেশী পিস্তল, ০৬ রাউন্ড গুলি এবং ০২টি ম্যাগাজিন আটক প্রসংগে।* ভোলাহাট সীমান্তে ভারত হতে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ এর দায়ে ১৯ (ঊনিশ) জন ব্যক্তি আটক। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ধর্ষনের শিকার সংখ্যালঘু নারী, ধর্ষক পলাতক জাতীয় দিবসে সৌদি আরবে অর্জিত সাফল্যের জন্য বাদশাহ সালমান ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বিআরটিএতে দালালি ও অপকর্মে আনসার কমান্ডার ফারুক জড়িত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ মে, ২০২৫
  • ৮৫ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার খাইরুল ইসলাম:রাজধানীর মিরপুর বিআরটিএ অফিসে দালালদের পাশাপাশি অপকর্মে জরিত নিরপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা আনসার কমান্ডার মো. ফারুক।
তার সদস্য বাহিনীরা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।অনুসন্ধানে আরও জানা যায় সপ্তাহে দাললদের জন প্রতি ৫০০ টাকা করে নেয় এই আনসার কমান্ডার। দালালদের নিয়ন্ত্রন করে দালালদের কাছ থেকে মাসে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন পিসি মো: ফারুক । এবং নিজস্ব আনসার সদস্যদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনে গাড়ীর কাগজ – পত্র ঠিক করার মাধ্যমে সদস্যদের কাজ থেকে প্রতিদিন ১০ /১২ হাজার করে নিয়ে থাকেন বলে তাদের অভিযোগ। নাম না প্রকাশে শর্তে একজন দালাল বলেন, আমরা ৮০থেকে ৯০ জন মিলে এখানে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ করি। এই কাজের বিনিময়ে আনসার কমান্ডারকে মাসে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা দিতে হয়।এই টাকা গুলো আনসারের এপিসির এর কাছে দিতে হয়। দালাল আরো বলে, টাকা না দিলে আমাদেরকে ভেতরে ঢুকতে বা কাজ করতে দেয় না।এবং আমাদের লকাপে ভরে রাখে, এবং জেল এর ভয় দেখিয়ে জরিমানার নাম করে মোটা আংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পিসি মো. ফারুক।তিনি আরও বলেন, আমাদের কাজের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও এইসব কাজে জড়িত। ৩০ জন আনসার সদস্য এখানে রয়েছে। এমনকি আনসার সদস্যরা প্রতিদিন কাজ করে। তারা হলেন,মো:হানিফা,মো:আনিছ,মো:রশিদ,মো:হাচানূর,মো:সেলিম, মো:আতিকুর,মো:আলিম,মো:সাজ্জাদ, সহ আরো অনেক সদস্যরা বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে একে পর এক কাজ করে যাচ্ছে। তাদের জন্য আমরা বেশী একটা কাজ করতে পারি না। তার পরও আনসার কমান্ডারকে সপ্তাহ হিসেবে বা মাস হিসেবে টাকা দিতে হচ্ছে।কাজ হক বা না হক টাকা পরিশোধ করতেই হবে।বিআরটিএ অফিসে সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়, বাধ্য হয়ে নিতে হয় দালাল বা আনসার সদস্যদের সহযোগিতা।বর্তমানে সাবেক অনসার সদস্য ৪০ থেকে ৫০ জন প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছে। এবং প্রতি সপ্তাহে জন প্রতি কমান্ডার কে দিচ্ছে ১০০০ হাজার টাকা করে। বুধবার সকালে মিরপুর বিআরটিএ অফিসের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় কথা হয় অনেকের সঙ্গে। এ সময় ভুক্তভুগী মেহেদী হাসান, নয়ন, মাসুদ, ও জামান একই অভিযোগ করেন। ভুক্তভুগীদের অভিযোগ, একদিকে আসতে হয় অনেক দূর থেকে, রাস্তায় থাকে যানজট শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ হওয়ায় কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ডিজিটাল নাম্বর প্লেট লাগাতে হচ্ছে মোটরসাইকেলে। বিআরটিএ অফিসে পর্যাপ্ত লোকবল থাকার পরেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।একদিকে থাকে পেটের চিন্তা অন্যদিকে ডিজিটাল নাম্বর লাগাতে হবে, অন্যথায় ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্নভাবে হয়রানি করবে এবং মামলা দেয়। এক সপ্তাহ যদি এভাবেই সময় যায় তাহলে পেটের চিন্তা করব না ডিজিটাল নাম্বর প্লেট লাগাব? এমন অনেক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ডিজিটাল নাম্বর প্লেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এবং ট্যাক্সটোকেন নিতে পড়তে হয় বিভিন্ন ভোগান্তিতে। দালাল ধরলে এ সব আগেই সুন্দর মতো এবং সঠিক সময়ে পাওয়া যায়। নিয়ম অনুযায়ী এ সব সেবা নিতে গেলে সময় ও কর্ম দুইটোই নষ্ট হচ্ছে। বিআরটিএ অফিসে গেলে দালালের খপ্পরে পড়তে হয় এবং নানা ধরনের জটিলতায় পড়তে হচ্ছে।পেশাদার ট্রাক চালক জাবেদুল ইসলাম বলেন, বিআরটিএ-এর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল এবং আনসারদের মধ্যে যোগসাজশের কারণে সেবাগ্রহীতাদের এ সব ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।ভোক্তভুগীরা বলছেন, দালাল ছাড়া লাইসেন্স পাওয়ার চেষ্টা করাটাও যেন এক ধরনের পাপ। বিআরটি এর সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়ে নিতে হয় দালালের সহযোগিতা। দালাল আর টাকা ছাড়া এখানে কোনো কাজ হয় না।মোহাম্মদপুর থেকে বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স ডেলিভারি নিতে এসেছেন মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ। তিনি প্রায় তিন ৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর নিয়ম অনুযায়ী লাইসেন্স হাতে পান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, অনেকেই টাকা দিয়ে আগেই নিয়েছেন।তিনি বলেন, আর কত কষ্ট দেবে বিআরটিএ। আমাদের সেবামুখী মানুষদের। রাস্তার গাড়ির কাগজ পত্র ঠিক না থাকলে পুলিশ হয়রানি করে। আর বিআরটিএ কাগজ সঠিক সময়ে না দিয়ে আরেক ভোগান্তিতে ফেলে।এদিকে দালাল, টাউট ও প্রতারক হতে সাবধান’। এমন সতর্কবার্তা সম্বলিত সাইনবোর্ড চোখে পড়বে রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ সড়ক পবিরবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) গেট দিয়ে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই। শুধু প্রবেশ ফটকেই নয়, এমন সতর্কবার্তা লেখা আরও অনেকগুলো সাইনবোর্ড সাঁটানো আছে মিরপুর বিআরটিএ এর বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে দেয়ালে। কিন্তু এই সতর্কবার্তাকে ছাপিয়ে, বলা যায় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দালালদের দৌরাত্ম্যই পুরো বিআরটিএ ঝুরেই।দৈনিক আমার বার্তা পত্রিকায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুই আনসার সদস্য ফারুক ও সেলিমকে বদলি করা হলেও এখনো বহলতবিয়তে রয়ে গেছে আনসার কমান্ডার ফারুক এখনো চালিয়ে যাচ্ছে তার দালালি বাণিজ্য দালালদের কাছ থেকে ঘুষ বাণিজ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com