ডেভিড সাহা:গত প্রায় দেড় বছরের মধ্যেও আবেদন করে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া বিদ্যুৎ সংযোগ পাইনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যাক্তি,খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল ও কুষ্ঠ চিকিৎসা কেন্দ্র চন্দ্রঘোনার সাবেক পরিচালক ডাক্তার শৈলা মং চৌধুরীর “স্মৃতি সংরক্ষণ শালায়।৩১ অক্টোবর শনিবার ছিলো ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সংঘ,বাংলাদেশ খ্রিষ্টান মেডিকেল এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি,খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল চন্দ্রঘোনার সাবেক সফল পরিচালক ডাক্তার শৈলা মং চৌধুরীর ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী।
এ উপলক্ষে স্বর্গীয় ডাঃ চৌধুরীর পরিবার,সমাজ সেবায় আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত এই কৃতি পুরুষের নামকরণে চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকায় স্থাপিত ডাক্তার শৈলা মং চৌধুরীর স্মৃতি সংরক্ষণ শালায়” স্মৃতি চারণের” অনুষ্ঠান করতে পারেননি। চৌধুরী পরিবারের সম্পর্কযুক্ত সজল কান্তি বিশ্বাস অভিযোগ করেন,বিদ্যুৎ বিভাগের রহস্যময় ভূমিকায় স্মৃতি সংরক্ষণ শালায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ গত প্রায় দেড় বছর।ফলে স্মৃতি সংরক্ষণ শালায় কোনো কার্যক্রমই হচ্ছেনা।
বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন নিবেদন করে ও “স্বর্গীয় চৌধুরীর” নামে সংযোগকৃত মিটারের সংযোগ পাওয়া যাচ্ছেনা।এমনকি চৌধুরী পরিবারের সদস্য একই হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডাক্তার মং স্টিফেন চৌধুরীও ডাক্তার শৈলা মং চৌধুরীর সহধর্মিণী স্বর্গীয়া মহিয়শী প্রসূন চৌধুরীর সমাধিস্থলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় লাইটগুলো জ্বালানো যায়নি।তবে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ডাক্তার এস এম চৌধুরীর সমাধিস্থল এ শ্রদ্ধাঞ্জলি, চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ মণ্ডলীর উদ্যোগে প্রার্থনা ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কেন?প্রশ্নের উত্তরে কাপ্তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী সুভাষ চৌধুরী প্রথমে বিষয়টি জানেননা ব’লে জানান,
ফের পরবর্তীতে তিনি সোজাসাপটা বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তেই স্মৃতি সংরক্ষণ শালায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হইয়েছে।প্রকৌশলী সুভাষ চৌধুরী,এ-র বাইরে কিছু জানাতেই অপারগতা প্রকাশ করেন।এবং এমন কি স্বর্গীয় ডাঃ শৈলা মং চৌধুরীর ছবি গুলো পর্যন্ত বিলুপ্ত করে রেখেছেন বর্তমান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যাহা খুবেই অমানবিক বলে স্থানীয় এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু জনসাধারণ জানান যে ভবিষ্যতে তার শেষ ভিটেমাটি কিছু প্রভাবশালীর দখলে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ও রয়েছে বলে ও আশঙ্কা করেন চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা।
Leave a Reply