শিরোনাম :
ধামইরহাটে রুপা ডায়গনিস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার অনুমোদন বিহীন চলছে রমরমাট ব্যবসা  ময়মনসিংহে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে.. যথাযথ মর্যাদায় ভালুকায় মুক্ত দিবস পালিত হয়। গোপালগঞ্জ সদর বৌলতলী এলাকায় ট্রাকের চাপায় এক শিশু নিহত সাতক্ষীরায় ২৭ লক্ষ টাকার স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক ঝিনাইদহে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬ কুড়িগ্রামে ফুলের শিক্ষাবৃত্তি পেতে পরিক্ষা দিচ্ছে ১৩৯৮ জন শিক্ষার্থী ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে গফরগাঁও উপজেলা, পৌরসভা ও পাগলা থানা বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুয়াকাটায় বিডি ক্লিনের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

বড়লেখায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৫।

মোঃ জালাল উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩২৮ বার পঠিত

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণার জের ধরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে পৌর শহরের পাখিয়ালা চৌমুহনীতে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অ্যাসল্ট মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে বড়লেখা থানার এসআই নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে ৯ জনের নামোল্লেখ ও ১৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এই মামলা করেছেন। এই ঘটনায় পুলিশ বড়লেখা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদ ও তাঁর চাচাতো ভাই রেহান আহমদকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দরের ভাতিজা। জানা গেছে, বড়লেখা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রচারণা শেষে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে বড়লেখা পৌর শহরের পাখিয়ালা চৌমুহনীতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেনের ওপর হামলা চালানো হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দরের ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতা শিমুল আহমদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়। এতে ইমরান হোসেনের হাত কেটে যায়। এদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেনের ওপর হামলার খবরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিয়ালা এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়ো হন। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দফায় দফায় রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

সংঘর্ষে বড়লেখা থানার এসআই নজরুল ইসলাম ও সুব্রত কুমার দাস, এএসআই আব্দুল হালিম, কনস্টেবল মেহেদি হাসান ও তোহেল আহমদসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় প্রশাসন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে বড়লেখা সরকারি কলেজ এলাকা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে। বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে উদ্ভুত পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স হতে বড়লেখা সরকারি কলেজ পর্যন্ত স্থানজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। দুপুর ২টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com