মোঃ বাবুল স্টাফ রিপোর্টার
জেলা:ময়মনসিংহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নং মুক্তাগাছা আমলী আদালত |
সূত্র: মুক্তাগাছা সি . আর .মোঃ নং ৭৫৮/২০২৫
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় চাঁদা না পাওয়ায় একটি বাণিজ্যিক ফিশারিতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগে সাতজনকে প্রধান আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (পিবিআই) তদন্ত করছে।
মামলার বাদী মাওলানা মো: রফিকুল ইসলাম (৩৫), পেশায় একজন ধর্মীয় শিক্ষক এবং ভুক্তভোগী ফিশারির মালিক, অভিযোগ করেন যে, অভিযুক্তরা তার নিকট তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২০২৫ সালের ৩ জুন বাদী গণমাধ্যমকে জানায় রাত আনুমানিক ০৯ ঘটিকায় আমার ফিসারিতে বিষ প্রয়োগ করা হয়। ফলে ফিশারির সকল মাছ মরে যায় এবং তিনি ১০.০০.০০০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হন।
ঘটনাটি ঘটেছে মুক্তাগাছা থানার অন্তর্গত কুমারগাতা ইউনিয়নের গাড়াইকুটি গ্রামে। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন ইছু (৬০) বাড়ির সামনেই ফিশারিটি অবস্থিত। পূর্বেও আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের আছে বলে বাদী জানান গণমাধ্যমকে । মামলার নম্বর:২ তারিখ:০১জুন২০২৫
মামলাটি দায়ের করা হয়েছে ২০২৫ সালের ৭ জুলাই
মামলায় আসামি হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন:
১. ইসমাইল হোসেন ইছু (৬০)
২. নাদিম (২২) – পিতা: ইসমাইল হোসেন ইছু
৩. জুলহাস মিয়া ওরফে সুজন (৩৫)
৪. শহিদুল ইসলাম শহিদ (৪৫)
৫. নূর ইসলাম (৪৬)
৬. সম্রাট (২০)
৭. হাবিবুর রহমান হাবি (৩২)
এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন সশস্ত্র লোক মামলায় অভিযুক্ত হয়েছে। সকল আসামির বাড়ি একই গ্রামে গাড়াইকুটি, কুমারগাতা ইউনিয়ন, মুক্তাগাছা থানার অন্তর্গত।
মামলায় উল্লেখিত অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে পরিকল্পিতভাবে চাঁদাবাজি, অনধিকার প্রবেশ, সম্পত্তির ক্ষতি সাধন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ দণ্ডবিধির ১৪৭, ৪৪৭, ৩৪২, ৩৮৫, ৪২৭, ৪২৮, ৫০৬, ১১৪ ও ৩৪ ধারায় অপরাধ সংঘটিত করেছে।
মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেছেন পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার তদন্ত কর্মকর্তা হাসান। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং সাক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন সামছুল হক, শাহজাহান কবির, আশরাফ আলী, সাইফুল ইসলাম, বাবুল হোসেন, মো: সবুজ মিয়া, আছর উদ্দিন, নাসির উদ্দিন ও চাঁন মিয়া সহ আরও অনেকে।
স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী বাদী দ্রুত বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন ।
Leave a Reply