মাদ্রাসা থেকে বহিস্কার হওয়ার পরও নির্বাহী অফিসারের দাওয়াতে নিজেকে বর্তমান অধ্যক্ষ দাবি করে হাজির হওয়ার চালাকি করলেন নুরুল ইসলাম খোদাদাদ (প্রাক্তন অধ্যক্ষ বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসা
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ দুর্নীতির অভিযোগে আটক হয়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন, কারাগার থেকে বের হওয়ার পরও তার দুর্নীতি ও প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পায় নাই ধামইরহাট, উপজেলার অসংখ্য পরিবার মাদ্রাসায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন তিনি, ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকায়, বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠে আসে নুরুল ইসলাম খোদাদাদের বিরুদ্ধে, অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হওয়ায় নুরুল ইসলাম খোদাদাদ কে শতাধিকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে সতর্কবার্তা প্রদান করেন বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি। কে শোনে কার কথা দুর্নীতি যেন নুরুল ইসলাম খোদাদাদের একটি মূল পেশা। নিচের বিষয়গুলি মোঃ নূরল ইসলাম খোদাদাদের বিরদ্ধে অতি স্পষ্ট: ১।তিনি প্রায় দুই বছরের অধিককাল মাদ্রাসায় অফিস করেন না(হাজিরা খাতা তার প্রমান), ২। তিনি মাদ্রাসার জমি বন্ধক রেখে টাকা আত্মসাৎ করেছেন, ৩। তিনি অসংখ্য মানুষের নিকট থেকে চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে ঘুঁষ গ্রহন করেছেন, ৪। তিনি জেলে থাকা ও ঘুঁষ গ্রহনের জন্য প্রথমে মার্চ মাসে সাময়ীক বরখাস্ত হন, ৫। তিনি তার পরও ঘুঁষ গ্রহন, অনুপস্থিতি, শিক্ষক-কর্মচারী, সভাপতিসহ অনেককেই ভয়ভীতিসহ হুমকী প্রদান করেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থেকে জোর করে সব কিছু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন, ৬। সর্বশেষ তিনি গত ২৪/০৬/২০২৪ইং তারিখে সভাপতিকে না জানিয়ে তার অনুগত গভর্নিং বডির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে সভাপতিকে বাদ দিয়েই একটি গোপন মিটিং এর মাধ্যমে নিজেকে অধ্যক্ষ হিসাবে পূনর্বহালের জন্য চেষ্টা করেন এবং সভাপতিকে নুরল ইসলাম খোদাদাদসহ কিছু সদস্য সভাপতিকে স্বাক্ষর করার চাপ প্রদানসহ গালাগাল, ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে, সভাপতি তার অবৈধ প্রস্তাবসমূহকে নাকচ করে দেন ও অতঃপর গভর্নিংবডির সভার সর্বসম্মতিসুচক সিদ্ধান্তক্রমে তাকে পূর্নাঙ্গ বরখাস্ত, বেতন ভাতা বন্ধসহ মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের উপর ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহন ও ব্যাংক হিসাব পরিচালনার বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান সাপেক্ষে সভাপতি ২৪/০৬/২০২৪ইং তারিখের ঐ সভার কার্য্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করেন। উপরের ১ নং থেকে ৫ নং পর্যন্ত সব কিছু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্তে স্পষ্টভাবে প্রমানিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগসমূহ ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরন করা হয়,এতো কিছুর পরও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে তার পুরাতন সভাসদদের নিয়ে নিজেকে অধ্যক্ষ দাবী করে আগামী ০২/০৯/২০২৪ইং সোমবার সকাল ১০ টায় একটি মিটিংএ যোগদানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন মোঃ নুরল ইসলাম খোদাদাদ। এদিকে অন্যান্য শিক্ষকগন ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ হারুন অর রশিদ বিষয়টি জানতে পেরে তারা ইউএনও এর নিকট আগে থেকে মৌখিক অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। এখানে অতি স্পষ্ট যে, মোঃ নূরল ইসলাম খোদাদাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গেও প্রতারণা করতে দ্বিধা করেন নাই নিজেকে বর্তমান অধ্যক্ষ বলে পরিচয় দিয়ে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতারণা টের পেয়েছেন কিনা তা জানা যায় নাই।
সুশীল সমাজের দাবি যে, মোঃ নুরল ইসলাম খোদাদাদ তো দুই বছরের বেশি সময় অফিস করেন না, তাহলে সে কিভাবে বেতন দাবী করে, তিনি নাকি উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বেতন দাবী করছেন, কিন্তু যে ব্যক্তি দুই বছরের বেশি অনুপস্থিত তাকে কি উচ্চ আদালত বেতন দিতে বলেছেন? সুশীল সমাজ আরো দাবী করেন যে, শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে প্রতারণা করার পরও দুর্নীতির দায়ে কারাভুক্ত আসামি বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ প্রশাসনের কাছে অভিযুক্ত হয় কিনা বা তার বিচার হয় কিনা, তা আমরা এলাকাবাসী শুধু দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
Leave a Reply