বহুল আলোচিত ও সমালোচিত পীর মাহবুব-এ খোদা দেওয়ানবাগী মারা গেছেন। আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাতটার দিকে তিনি নিজ বাসায় স্ট্রোক করেন। পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ আরামবাগে নেয়া হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মাহাবুব-এ-খোদা ১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

বাবার নাম সৈয়দ আবদুর রশিদ সরদার। মা সৈয়দা জোবেদা খাতুন। ছয় ভাই, দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। দেওয়ানবাগী নিজ এলাকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেন । পরে ফরিদপুরে আরেক পীর আবুল ফজল সুলতান আহমেদ চন্দ্রপুরীরের অনুসারি হন এবং তার মেয়ে হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন। সেখান থেকে ফিরে নিজেই নারায়ণগঞ্জে এসে দেওয়ানবাগ নামক স্থানে একটি আস্তানা গড়ে ধর্ম প্রচারে নামে। তার বিরোধিরা যাকে ‘বিতর্কিত কর্মকাণ্ড’ বলে অ্যাখ্যায়িত করে থাকে।

মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগে স্থায়ী আস্তানা রয়েছে দেওয়ানবাগীর। এদিকে দেওয়ানবাগীর মৃত্যুর সংবাদ গণমাধ্যমে উঠে আসায় সামাজিক যোগাযোগ চলছে ট্রল ও পৈশাচিক উন্মাদনা। কেউ কেউ আনন্দ করছে। কেউ আবার ‘জাহান্নাম’র সার্টিফিকেটও দিচ্ছে। একজন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে, ‘শয়তানের বাচ্চা (দেওয়াবাগীর পীর) মারা গেছে।’ এমনই আরও একজন স্ট্যাটাস দিয়েছে, ‘দেওয়ান পাপী মারা গেছে। জাহান্নামে স্বাগতম।’ এরকম শত শত হিংস্রাত্মক স্ট্যাটাসে ফেসবুক সয়লাব।