বাহাউদ্দীন তালুকদারঃ কথিত সাংবাদিক তাদের অপ-সাংবাদিকতার তান্ডবে অতিষ্ট হয়ে এ ব্যাপারে পরেছেন বৃহত্তর মিরপুরের পেশাদার সাংবাদিকবৃন্দ। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরস্থ জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাতজনের বিরুদ্ধে শাহ্ আলী থানায় মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের হাতে প্রধান আসামি জাহিদুল ইসলাম ওরফে সোহাগ কে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকীরা পলাতক রয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ১৪ তারিখে দুইজন দর্শনাথী (তরুণ -তরুণী) জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে ঘোরাঘুরি করার সময় হটাৎ ছয়জন মোটরসাইকেল যোগে হাতে ক্যামেরা নিয়ে তাদের কাছে আসে তাদের হাতে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল দিয়ে দর্শনার্থীদের একসাথে করে বেশ কিছু অন্তরন্গ ছবি তোলে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে একজনকে পুলিশের এস,আই, হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় তাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়ারও হুমকি দিয়ে তাদের সাথে থাকা ২০০টাকা নেয়া হয়, আরো ৩০০ টাকা দিতে রাজি হলে তারা ব্যবস্থা করতে বলে পাশে আছি বলে গার্ডেনের ভিতর চলে যায়। কোন উপায় না দেখে ভুক্তভোগীরা উদ্যোনে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের জানায়। নিরাপত্তারক্ষীরা তথা কথিত সাংবাদিকদের মধ্যে একজনকে আটক করে শাহা আলী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। কথিত সাংবাদিক দল জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরনে মাদক সেবন, বিক্রি সাংবাদিক পরিচয়ে কখনও পুলিশ পরিচয়ে হুমকি ধমকি, দিয়ে চাঁদাবাজির মতো ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে ঘটিয়ে চলছে।
এ ব্যাপারে, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। অভিযুক্ত ব্যাক্তি পুলিশ ও উদ্যানের নিরাপত্তারক্ষীসহ অফিসারদের সামনেই তার বক্তব্য দিয়েছেন। পুলিশ এ বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
এ ব্যাপারে শাহ্ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন তবে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি এদের মধ্যে একজন নিজেকে ভুয়া পুলিশ পরিচয় দিয়েছে। যাকে আটক করা হয়েছে তার পত্রিকা অফিসে ফোন দিলে এটা পত্রিকা অফিস না রং নাম্বার বলে কেটে দেয়। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে মিরপুর উপ-পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি আবগত আছি। অভিযোগটি সচ্ছতার ভিত্তিতে নিরপক্ষ ভাবে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি আশাকরি খুব শীঘ্রই নিষ্পত্তি হবে।
তিনি আরো বলেন, যদি কখনও এক পেশার লোক ভিন্ন পেশার পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে। এবং চাঁদাবাজি হামলার মতো ঘটনা ঘটে তাহলে জরুরী ভিত্তিতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করুন। পুলিশ কার্যকরী ব্যবস্থা নিবে। আর যদি পুলিশ সহযোগিতা না করে তাহলে আমাকে অবহিত করুন। আজও আমারা একজন ভুয়া ডিসি পরিচয়কারীকে আটক করেছি। বিষয়টি মিরপুর মডেল থানা তদারকি করছেন।
Leave a Reply