নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যশোর বিআরটিএ র’ সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইনের বিরুদ্ধে ৮৫০০/ টাকা ঘুষ চাওয়ারক অভিযোগ উঠেছে পাশাপাশি সাংবাদিকে নিউজ প্রকাশ করার কারণে হাত পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়েছে রিফাত হোসাইন।
এই মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইন দীর্ঘদিন যাবত অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে আসছে। এর আগে ও তার নামে নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে। রিফাত হোসাইন তার কিছু দালালদের মাধ্যমে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ অর্থ অফিসের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে এই রিফাত হোসাইন কোন ভাবেই তার দুর্নীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না। অনিয়ম দুর্নীতির পাশাপাশি সে জাতীয় সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতার অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকে হাত পা ভেঙে দেয়ার হুমকি ও দিয়েছে। তার অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের বিষয় নিউজ প্রকাশ করায় অনুসন্ধান টিমের এক সাংবাদিকে ডেকে নিয়ে নিউজ বন্ধ না করলে হাত পা ভেঙে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে।
সে আরো বলেন যে সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করলে সে নাকি সেই সাংবাদিকের হাত পা ভেঙে দিবেন, একজন সরকারি চাকুরীজীবী হিসেবে সে কর্মরত রয়েছেন। সাংবাদিকদের কাছে তথ্য থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক নিউজ প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে। সে ফিটনেস বিহীন গাড়িকে ফিটনেস হিসেবে কাগজপত্র পাস করে দিয়ে থাকেন। জাগ্রত জনতার অনুসন্ধান টিম যশোর বিআরটিএ র’ অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের যে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেন। এরই মধ্যে সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইন ও মুন্সী আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠে আসে এরই ধারাবাহিকতায় অফিস সহয়ক মুন্সী আব্দুল আলীমের নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এবার প্রকাশ করা হচ্ছে। রিফাত হোসাইনের বিরুদ্ধে সে একজন যশোর বিআরটিএ র’ সহকারী মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। রিফাত হোসাইন সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তির কাছে পরীক্ষার মাঠ থেকে ৮৫০০/ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন কিন্তু সেই ব্যক্তি টাকা না দেওয়ার কারণে তাকে পরীক্ষায় ফেল করে দিয়েছে এই ধরনের একটা তথ্য আমাদের জাগ্রত জনতার অনুসন্ধান টিমের হাতে এসে পৌঁছায়। সেই ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত ড্রাইভিং করে আসছেন তার লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করলে পরীক্ষা দেওয়ার তারিখ তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। নির্ধারিত তারিখে সে পরীক্ষা দিতে মাঠে আসেন, মাঠে আসলে ওই মুহূর্তে রিফাত হোসাইনের সাথে কথা বলেন ওই ব্যক্তি যখন তাকে বলেন যে স্যার আমি পরীক্ষা দিতে আসছি তখন রিফাত হোসাইন তাকে বলেন যে আপনি কার মাধ্যমে আসছেন,সে তখন বলে স্যার আমি কারোর মাধ্যমে আসিনি নিজেই আসছি তখন রিফাত হোসাইন তাকে বলে যে আপনাকে পাস করে দেওয়া হবে কিন্তু আমাকে ৮৫০০/টাকা দিতে হবে। তিনি বলেন যে স্যার আমি গরীব মানুষ সাধারণ ভাবে ড্রাইভিং করে ফ্যামিলি নিয়ে চলি আমি স্যার এত টাকা কিভাবে দিব তখন রিফাত হোসাইন বলে আপনি যদি টাকা না দেন তাহলে আপনাকে পরীক্ষাতে ফেল করে দেওয়া হবে। একথা শুনে ওই ভুক্তভোগী পরীক্ষা দিয়ে চলে যায়। পরের দিন তাকে জানিয়ে দেওয়া হয় সে পরীক্ষায় ফেল করেছে। এই ভুক্তভোগী জাগ্রত জনতার অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকদের সাথে ফোনে কথা বলেন, সে ফোনে বলেন আমি প্রথমে অফিসে যায় অফিস থেকে ও মুন্সী আব্দুল আলীম নামে একজন আমার কাছে ৮০০০/ টাকা ঘুষ চায় তাকেও আমি কোন কিছু না বলে চলে আসি। পরে আবেদন কপি নিয়ে পরীক্ষার মাঠে যায় সেখানে ও এই সরকারি কর্মকর্তা রিফাত হোসাইন আমার কাছে ৮৫০০/ টাকা ঘুষ চায়। যখন ঘুষ চেয়েছে তখন তাকে আমি বলেছিলাম যে স্যার আমি গরীব অসহায় মানুষ আমি এত টাকা কি ভাবে দিব রিফাত হোসাইন সাহেব আমি দীর্ঘদিন যাবত ড্রাইভিং করে আসছি আমার সব কিছু ঠিকঠাক আছে তাহলে আমি এত টাকা কেন দিব সে বলে পরীক্ষায় যদি পাস হতে চান তাহলে ৮৫০০/ টাকা দিতে হবে, যদি টাকা না দেন তাহলে আপনাকে পরীক্ষায় ফেল করে দেওয়া হবে। রিফাত হোসাইন ঠিক সেই কাজটাই আমার সাথে করেছেন। আমি এই দুইজন কে ঘুষ দেই নাই বিধায় আমাকে ফেল করে দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই আপনারা সাংবাদিক আপনারা জাতির বিবেক তাই আমার অভিযোগ আপনাদের জানিয়ে দিলাম আপনারা আমার এই অভিযোগটা আপনাদের পত্রিকায় তুলে ধরবেন যাতে আর কোন মানুষ এই কর্মকর্তাদের কাছে এসে ভোগান্তির শিকার না হতে হয়। রিফাত হোসাইন ৮ থেকে ১০ জন দালালদের দিয়ে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ঘুষ নিয়ে থাকেন। এই ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ যদি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা দালালদের মাধ্যমে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ নিতে থাকে তাহলে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের আস্তা উঠে যাবে। রিফাত হোসাইনকে অনেক বার ফোন করা হয়েছিল কিন্তু সে ফোন রিসিভ করেননি।
জাগ্রত জনতা পত্রিকার অনুসন্ধানে দালালদের তালিকা প্রকাশ করা হলো, দালাল সিহাব, দালাল মামুন, দালাল মনির, দালাল মিথুন, দালাল আশিক, দালাল তানভীর, দালাল মুস্তাক, দালাল ইসানুর, দালাল বাপ্পা ও দালাল বিদ্যুৎ, এই ১০ দালালদের দিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন এই কর্মকর্তা রিফাত হোসাইন এর ক্ষমতার খুঁটির জোর কোথায়।
এই সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইন খুলনা বিভাগীয় উদ্ধতন কর্মকর্তাসহ, যশোর বিআরটিএ র’ সকল কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ও দালালদের মাধ্যমে লাইসেন্স সেকশন, ফিটনেস সেকশন পরীক্ষা হলের ভিতরে টাকা ছাড়া পাস হয় না। এর আগে ও অনেক বার দেখা গিয়েছে যে রেকর্ড রুমেও দালালদের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে রেকর্ড রুমের ভিতরে সাইফুল ইসলাম নামে এক দালাল ২০০৩ সাল থেকে দেখা শুনা করে আসছে। প্রত্যেক ডেক্স রুমের ভিতরে দালালদের দেখা গিয়েছে,এই দালালদের কাজ হলো সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে দীর্ঘদিন যাবত ঘুষ নিয়ে আসছেন। দালালদের দাপটে সরাসরি কোন কাজ করা যাচ্ছে না অফিসের সামনে গেলেই দালালদের মাধ্যমে কাজ করতে হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতার অনুসন্ধান টিমের নিকট অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি বলেন,যে যশোর বিআরটিএ র’ নিজ থেকে অফিসের ভিতর পর্যন্ত দালালদের দিয়ে বিভিন্ন কাজসহ অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে থাকেন।
সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা পত্রিকার অনুসন্ধান টিম গত দুই মাস যাবত যশোর বিআরটিএ র’অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার তথ্য সংগ্রহ করে আসছেন। সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা অনুসন্ধানের ৩টি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখতে পান যশোর বিআরটিএ অফিসের ভিতরে যে খানে যাওয়া হয়েছে সেই জায়গাতেই দালালদের দেখা মিলেছে, তথ্য মোতাবেক অফিসের ভিতরে দালাল আর দালাল, দালাল ছাড়া কোন কাজ হয় না।
এই সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইনসহ যশোর বিআরটিএ র’ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কর্মচারী পর্যন্ত দালাল ছাড়া কোন কাজ করেন না, প্রত্যেক ডেক্স এর ভিতরে দালালদের বসিয়ে কাজ করানো হয়। সরকারি এত বড় একটা প্রতিষ্ঠান তার ভিতরে শুধু দালাল আর দালাল সরকারি নিয়ম রয়েছে কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভিতরে দালাল থাকতে পারবে না অথচ যশোর বিআরটিএ র’ রেকর্ড রুমের মত এত বড় একটা জায়গায় সেখানেও দালাল দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকেন। অথচ রেকর্ড রুমের ভিতরে রেকর্ড কিপারকে দেখা যায় নাই। সেখানে দেখা গিয়েছে সাইফুল ইসলাম নামে এক দালালকে।
অফিসিয়াল লোক থাকা সত্ত্বেও দালাল দিয়ে এই ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলছেন রিফাত হোসাইনসহ অনেকে। সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইনকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়েছে তবে সে ফোন রিসিভ করেননি। যশোর বিআরটিএ র’ দালালদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন এই সাইফুল ইসলাম কে এই সাইফুল ইসলাম যে যশোর বিআরটিএ র’ সরকারি নিয়োগ প্রাপ্ত কোন লোক না তাহলে কেন এই সাইফুল ইসলাম রেকর্ড রুমের দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি অফিসে এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে অথচ দেখার কেউ নেই। তাহলে কি যশোর বিআরটিএ র’ কর্মকর্তারা এবং খুলনা বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এই ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।
দালাল দিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য তৈরি করে রেখেছেন এই রিফাত হোসাইন। সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা পত্রিকার অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকরা কর্মকর্তাদের কাছে দালালদের বিষয়ে জানতে চাইলে ফোনে কোন কথা বলতে তারা ইচ্ছুক নন পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন দিলে ও ফোন রিসিভ করেননি। রিফাত হোসাইন তিনি যশোর বিআরটিএ র’ সহকারী মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তার আন্ডারে রয়েছে ৮ থেকে ১০ দালাল লাইসেন্স থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ দালালদের মাধ্যমে হয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবত।
এই সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইনকে দালালেরা যা বলে সে তাই করে।
লাইসেন্স ও ফিটনেস বিহীন গাড়িকে ফিটনেস বলে পাস করে দিয়ে থাকেন। রিফাত হোসাইন, সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা পত্রিকাকে বলেছেন যে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করে যদি কিছু করতে পারে তাহলে করুক দেখি আমার কি করতে পারে সে আরো বলছে এর পর যদি আমার নামে কোন নিউজ প্রকাশ করা হয় তাহলে সাংবাদিকের হাত পা ভেঙে দেয়া হবে, একজন সরকারি কর্মকর্তা যে অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন দালালের মাধ্যমে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ঘুষ নিয়ে কাজ করেন রিফাত হোসাইন, সে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই ধরনের আলোচনা করছেন।
যে কর্মকর্তা অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ নেয়া তার পেশা সে একটা জাতীয় পত্রিকাকে এই ধরনের কথা বলেছেন তা জাতির জন্য লজ্জাজনক ঘটনা এই ধরনের ঘটনা যদি সরকারি দপ্তরের ভিতরে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের আস্থা কোথায় থাকবে। যশোর বিআরটিএ র’ রেকর্ড রুম থেকে শুরু করে সব জায়গায় দালাল আর দালাল দিন দিন দালালের দৌড়ত্ব বেড়েই চলেছে কোন ভাবেই দালালদের দৌড়ত্বের লাগাম টানা যাচ্ছে না, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে দালালদের দৌরত্ব। যত দ্রুত সম্ভব যশোর বিআরটিএ র’ দালালদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
Leave a Reply