
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমকে আরও জেন্ডার সংবেদনশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনগণের জন্য সহজপ্রাপ্য করতে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে “বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়)” প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসন, রাজশাহীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গ্রাম আদালত সংশ্লিষ্ট সদস্য ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন,“তৃণমূল পর্যায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় গ্রাম আদালত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেন্ডার সংবেদনশীলতা, স্বচ্ছতা এবং সেবার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা জরুরি। এই প্রশিক্ষণ মাঠপর্যায়ে বিচারপ্রার্থীদের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মো. জাকিউল ইসলাম। তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির সবচেয়ে কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হলো গ্রাম আদালত। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সবার জন্য সমান সুযোগ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গ্রাম আদালত প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক মো. লুৎফর রহমান। তিনি জানান, প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের গ্রাম আদালতের আইনগত কাঠামো, জেন্ডার সমতা, মানবাধিকার, বিচার প্রক্রিয়ার ধাপ ও নথি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে হাতে-কলমে ধারণা দেওয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) উম্মে কুলসুম সম্পা বলেন, নারী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও অসহায় মানুষের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে পুলিশ গ্রাম আদালতের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) হেলেনা আকতার, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করন ৩য় পর্যায় প্রকল্প সমন্বয়কারী মারুফ আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুঠিয়া উপজেলা সমন্বয়কারী গ্রাম আদালত মোসা. রাসেদা খাতুন, বাঘা সমন্বয়কারী পরিতোষ চন্দ্ররায়, পবা সমন্বয়কারী রঞ্জন কুমার রায় প্রমুখ।
Leave a Reply