
২৭ মে ২০২১ইং
সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প র্যাব-৫ রাজশাহীর একটি অপারেশন দল গত ২৫ মে ২০২১ ইং তারিখ সন্ধ্যা ০৭.০০ ঘটিকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে নাটোর জেলার লালপুর থানাধীন মোহরকয়া গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম “ইমো” হ্যাকিং করে প্রতারণাপূর্বক অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায়, ল্যাপটপ ০১ টি, মোবাইল -০৬ টি, সিমকার্ড-১১ টি, রাউটার ০২ টিসহ আসামী ১। মোঃ পাপ্পু আলী (১৯), পিতা- মোঃ এয়ারুল, ২। মোঃ আজিম আলী @ সম্রাট (১৯), পিতা- মোঃ বজলুর রহমান ,উভয় সাং- মোহরকয়া, ৩। মোঃ অন্তর উদ্দিন @ বিল্লু (১৮), পিতা- মোঃ আলাউদ্দিন, সাং-চকবাতকয়া, ৪। মোঃ স্বাধীন (১৮), পিতা- মোঃ সোহরাব আলী, সাং- পাইকপাড়া, ৫। মোঃ সজীব আলী (১৮), পিতা- মোঃ লোকমান হোসেন, সাং- চকবাতকয়া, সর্ব থানা- লালপুর, জেলা-নাটোরগণকে আটক করে।
পরবর্তীতে উক্ত আসামীদের দেয়া তথ্যমতে পৃথক একটি অভিযানে নাটোর জেলার লালপুর থানাধীন মোহরকয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম “ইমো” হ্যাকিং করে প্রতারণাপূর্বক অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায়, ট্যাবলেট কম্পিউটার ০১ টি, সিমকার্ডসহ মোবাইল -২১ টি, গ্যাসলাইট ০৬ টি, এ্যালুমনিয়াম ফয়েল পেপার ২ টি রোলার, নগদ টাকা ১,২০০/- সহ আসামী ১। মোঃ ফরিদ উদ্দিন (২৫), পিতা- মোঃ আজিজ মোল্লা, ২। মোঃ রবিউল ইসলাম (২২), পিতা- মোঃ ইয়াসিন, ৩। মোঃ মোহন সরকার (২২), পিতা- মোঃ মনসুর রহমান, ৪। মোঃ শাহপরান সরকার (২০), পিতা- মোঃ নুর আলম সরকার, সর্ব সাং- মোহরকয়া ভাঙাপাড়া, ৫। মোঃ আশিকুর রহমান বিন্টু (২২), পিতা- মোঃ সাইফুর রহমান মজনু, সাং- উত্তর লালপুর পুরাতন বাজার, ৬। মোঃ মহিন (২১), পিতা- আঃ রশিদ, সাং- রামকৃষ্ণপুর, ৭। মোঃ শাহাবুল ইসলাম (৩৫), পিতা- মোঃ ইনছার মন্ডল, সাং- মোহরকয়া নতুনপাড়া, ৮। মোঃ রুবেল হোসেন (২৬), পিতা- মোঃ জহুরুল ইসলাম, সাং- মনিহারপুর, ৯। মোঃ আলম হোসেন (৩৭), পিতা- মোঃ আতাহার মন্ডল, সাং- বিলমারিয়া মিলহাউজপাড়া, ১০। মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৩০), পিতা- মৃত ওসমান আলী, ১১। মোঃ নাজিম আলী (৩০), পিতা- মোঃ রবকত প্রামানিক, উভয় সাং- নাগশষা, সর্ব থানা- লালপুর, জেলা- নাটোরগণকে আটক করে।
উল্লেখ্য উক্ত ১১ জন আসামীর মধ্যে ৯ জন আসামীকে অভিযান পরিচালনার সময় মাদক সেবনরত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাহাদেরকে পরবর্তীতে লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহাদেরকে ইয়াবা সেবনকারী বলে মতামত প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃত ১৬ জন আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের “ইমো” ব্যবহারকারীদের ইমো হ্যাক করে এবং পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিচিতজনদের নিকট হতে প্রতারণাপূর্বক মোবাইল ফিন্যান্সিং সাভির্সের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়। ধৃত “ইমো” হ্যাকারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
র্যাব- কে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন
সু-শৃঙ্খল সমাজ গড়ুন।
Leave a Reply